November 20, 2025, 4:59 am


শাহীন আবদুল বারী

Published:
2025-11-20 01:41:49 BdST

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন প্রত্যাশা করেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম


টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসনে বিএনপি প্রাথমিকভাবে প্রার্থীদের মনোনয়ন ঘোষনা করেছে। এসব আসনের দু-একটি ছাড়া অধিকাংশ আসনগুলোতে প্রতিদিনই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে মনোনয়ন বঞ্চিতরা। সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। বিশেষ করে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিদ্দিকী কারামুক্ত হবার পর পাল্টে গেছে টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতি আসনের চিত্র। যদিও টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনে অজ্ঞাত কারনে প্রার্থী ঘোষনা করা হয়নি।

সরেজমিনে কালিহাতিতে গিয়ে বিএনপির তৃনমুলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন দেয়া হয়েছে লুৎফর রহমান মতিনকে। তাকে মনোনয়ন দেয়ার পর থেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কারন- আওয়ামী লীগের গত প্রায় সাড়ে ১৫ বছর তিনি বিএনপি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। ২০১৬ সালে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বিএনপির সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ থেকে দূরে সরে পড়েন। নেতাকর্মীদের সাথে মোটেই যোগাযোগ রাখেননি। অনেকটা প্রকাশ্যেই বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন লুৎফর রহমান মতিন।

এখানেই শেষ নয়, বিএনপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে তিনি আওয়ামী লীগের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তোলেন। শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকী ও শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন করেছেন এমন গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ আওয়ামী নেতাকর্মীদের সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মতিনের ঘনিষ্ট ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এসব কারনে বিএনপির তৃনমুলের নেতাকর্মীরা তাকে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না।

কালিহাতীর সাধারন মানুষ ও বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই আসনে সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বড় একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হলে আওয়ামী লীগের ভোটের বড় একটা অংশ তার পক্ষে যাবে। এই অবস্থায় বিএনপির প্রার্থী মতিনের পক্ষে জয়ী হওয়াটা কঠিন হয়ে পড়বে। মতিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো খতিয়ে না দেখেই তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের। তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

এদিকে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। এরপর তিনি শো ডাউন করছেন। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, তিনি কালিহাতীর ত্যাগি ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বদলে সুবিধাবাদী নেতাদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও টিটু সুবিধা দিয়েছে। ফলে সকল মনোনয়নপ্রত্যাশী তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। শীর্ষ নেতাদের এমন অবস্থানে মাঠে টিটুর অবস্থান নড়েবড়ে হয়ে যায়। তাছাড়া ৫ আগষ্টের পর বিভিন্ন বালু মহাল নিয়ন্ত্রন নেয়াসহ দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এতে ব্যাপক সমালোচনা মুখে পড়েন। এসব কারনে দলের হাইকমান্ড তাকেও মনোনয়ন দেয়নি-এমন কথা মানুষের মুখে মুখে।

এই অবস্থায় কালিহাতি আসনে হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরন এবং আসন ফিরে পেতে মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম মিয়াকে মনোনয়ন দেবার দাবি উঠেছে।

কালিহাতীর কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জানান, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের অনেকেই সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেছেন। কিন্তু মোঃ আব্দুল হালিম মিঞা শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধাই নন, তিনি রাজনৈতিক লড়াকু সৈনিক। তিনি এলাকায় ‘হালিম ইঞ্জিনিয়ার’ নামে সুপরিচিত। সবাই তাকে হালিম ইঞ্জিনিয়ার বলেই ডাকেন এবং চিনেন।

একজন সৎ ও ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে কালিহাতিতে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে হালিম মিয়া মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু দলের স্বার্থে হাইকমান্ডের নির্দেশে ঐক্যফন্টের কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের গত ১৭ বছর তিনি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কালিহাতির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। এলাকায় দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করেছেন। কালিহাতীতে তৃণমূল নেতাকর্মী এবং বঞ্চিত ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে দাড়িয়েছেন। ঢাকায় যখন নেতাকর্মীরা রাস্তায় বের হতে পারেননি, তখনও মুক্তিযোদ্ধার ব্যনারে শহীদ জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যেতেন কেন্দ্রীয় কর্মসূচি উপলক্ষে।

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক থেকে যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ

ইঞ্জিনিয়ার হালিমের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ছাত্রাবস্থায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি থানা পর্যায়ের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। শুধু সংগঠক হিসেবেই নয়, নিজেও সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন। অস্ত্র হাতে দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে বীরত্বের স্বাক্ষর রাখেন।

দলের প্রতি শতভাগ নিষ্ঠা, আন্দোলনে রাজপথে অবিচল পদচারণা তাকে সকলের কাছে পরিচিত করেছে।

২০১২ সালের ২ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলে যোগ দেন তিনি। এর পর থেকে বিএনপির সব আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। গুম-গ্রেফতার-হয়রানি কিছুই তাঁকে দমাতে পারেনি। কঠিন সময়ে তিনি রাজপথে থেকেছেন, মিছিল-সমাবেশে ছিলেন সাহসী নেতৃত্বে।

দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো ছিল তাঁর দায়িত্ব নয়, বরং ভালোবাসা। দলের যে কোনো কর্মসূচিতে প্রচার কার্যক্রমের সময় বিএনপির দলীয় লিফলেট নিজ হাতে সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। বাজার, হাট কিংবা পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে তাঁকে দেখা গেছে জনগণের সঙ্গে কথা বলতে, দলের বার্তা পৌঁছে দিতে। তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে তিনি লিফলেট বিতরণ সহ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে বক্তব্য আকারে ধরে তুলছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রাপ্ত হয়েও ত্যাগের অনন্য নজির

দলের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ও জনপ্রিয়তার স্বীকৃতিস্বরূপ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে তিনি বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন লাভ করেন। তবে দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং ঐক্যফ্রন্টের কৌশলের অংশ হিসেবে মনোনয়ন ত্যাগ করে শরিক দলের জন্য আসনটি তিনি ছেড়ে দেন। তাঁর এই ত্যাগী সিদ্ধান্তকে আজও নেতাকর্মীরা সম্মানের চোখে দেখেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুল হালিমকেই মনোনয়ন দিবেন বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নেতৃত্বে বহুমাত্রিকতা ও সংগঠনে সক্রিয় ভূমিকা

ইঞ্জিনিয়ার হালিম প্রকৌশল শ্রমিক ইউনিয়ন, ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন, হকার সমিতি এবং বাউল শিল্পী সমিতির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি। ঢাকা মহানগরীর সভাপতি, এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এবং জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য। ইঞ্জিনিয়ার হালিম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত একজন কর্মী।

ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম মিয়ার ঘনিষ্টজনেরা জানান, নিজ এলাকায় বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে দুুর্দিনে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসুচি পালন করেছেন। এমনকি ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসুচিগুলোতেও তিনি নিয়মিত সরব থেকেছেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি পদে থাকার সুবাদে হালিম মিয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগে সরকারের গত ১৫ বছর নানা বাঁধা আর নির্যাতন জুলুমের মধ্যেও ঢাকায় কর্মসুচিতে অংশ নিয়েছেন। দুঃসময়ে যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরস্থানে যাওয়া অনেকটা অসম্ভব ছিল, সে সময়েও মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তিনি পুস্পস্তবক অর্পন করতে যেতেন।

করোনাকালে জনসেবায় ইতিহাস গড়া মানবিক কর্মযজ্ঞ

মহামারি যখন চরমে, মানুষ যখন কর্মহীন, বাজারে খাদ্যদ্রব্য যখন সোনার হরিণ—তখন হালিম ইঞ্জিনিয়ার ছুটে গেছেন কালিহাতী উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে। কোকডহরা, গোহালিয়াবাড়ী, দশকিয়া, দুর্গাপুর, নাগবাড়ী, নারান্দিয়া, পাইকড়া, সহদেবপুর, এলেঙ্গা, সল্লা, বাংড়া—এই সব ইউনিয়নের মানুষের হাতে তিনি নিজ হাতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁর বিতরণ করা খাদ্যপ্যাকেটে শুধু চাল-ডাল ছিল না, ছিল আশার আলো। স্থানীয় এলেঙ্গা ও কালিহাতীর প্রতিটি গ্রামের মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে তাঁর সেই মানবিক অবদান। তাই তো জনমানুষের নেতা হয়ে উঠেছেন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুল হালিম।

শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে অক্লান্ত প্রয়াস

কালিহাতীর বিভিন্ন ইউনিয়নে তাঁর সহায়তায় গড়ে উঠেছে একাধিক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মসজিদ, মন্দির ও মাদ্রাসা। শুধু প্রতিষ্ঠানই নয়, অনেক জায়গায় তিনি ব্যক্তিগত অর্থে ভবন নির্মাণ এবং শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তারে রেখেছেন দৃষ্টান্তমূলক অবদান। আজ অনেক তরুণ-তরুণীর শিক্ষা জীবনের পেছনে রয়েছে এই হালিম ইঞ্জিনিয়ারের নিঃশব্দ অবদান।

ছাত্র রাজনীতি থেকেই নেতৃত্বের প্রমাণ

রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি আব্দুল হামিদ ছাত্রাবাসের জিএস নির্বাচিত হন। পরে কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস পদে নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ছাত্রজীবনের সেই নেতৃত্ব গুণ আজ তাঁকে একজন পরিপূর্ণ রাজনৈতিক নেতায় পরিণত করেছে। জনগণের মুখে প্রশংসার ফুলঝুরি, করোনায় তিনি নিজের হাতে খাবার দিয়েছেন। উনার মতো মানুষ রাজনীতিতে খুব দরকার। তার জনপ্রিয়তা তরুণ প্রজন্মেও তুঙ্গে। তরুণরাও তাঁকে দেখেন সাহস ও আস্থার প্রতীক হিসেবে। তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলে তরুণরা খুশিতে তার জন্য মাঠে কাজ করবে বলে অসংখ্য তরুণ এই প্রতিবেদকের কাছে মত প্রকাশ করেছে।

দল ও জনগণের নির্ভরতার প্রতীক

বিএনপির রাজনীতিতে যারা আদর্শ, ত্যাগ আর মানবিকতাকে শ্রেষ্ঠ গুণ বলে মানেন—তাঁদের কাছে হালিম ইঞ্জিনিয়ার এক জীবন্ত কিংবদন্তি। দলীয় দায়িত্ব পালনে যেমন তিনি দক্ষ, তেমনি কর্মীদের পাশে থেকেছেন বিপদ-আপদে। কালিহাতী এলেঙ্গা থেকে জাতীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব পর্যন্ত তাঁর গ্রহণযোগ্যতা এখন ব্যাপক।

বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে তার পরিবার প্রায়ই নানাভাবে হুমকির মধ্যে পড়েছে। চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরিবারের সদস্যরা। তারপরেও দলের প্রতি তিনি আস্থা ও অবিচল থেকেছেন।

বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন, তিনি কেবল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নন—একজন সাহসী সংগঠক, ত্যাগী রাজনৈতিক নেতা, মানবিক সমাজসেবক এবং নির্ভরতার প্রতীক। পুরো জীবনজুড়ে তিনি মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন নিরলসভাবে।

এই ব্যপারে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম জানান, যোগ্য বিবেচনা করেই ২০১৮ সালে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিল। পরে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার জানা মতে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন মুক্তিযোদ্ধাও স্থান পাননি। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি পদে থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছি। যেহেতু বিএনপির মুক্তিযোদ্ধার দল, সেহেতু চুড়ান্ত পর্যায়ে দল আমাকে মনোনয়ন দিবে বলে আস্থা রাখছি পার্টি হাইকমান্ডের প্রতি।

ইঞ্জিনিয়ার হালিম মিয়া এই বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.