December 20, 2025, 1:20 am


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2025-12-19 04:36:20 BdST

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর


রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয় ও ফার্মগেটে অবস্থিত ডেইলি স্টার ভবনে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল থেকে এই হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা শাহবাগের দিক থেকে মিছিল নিয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে সামনে উপস্তিত হন। এসময় তারা প্রথম আলো ও ভারতবিরোধী নানা স্লোগান দেন। একপর্যায়ে কিছু লোক অফিসের ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করে।

তারা আরও বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা ভবনে প্রবেশ করে সেখানকার নথিপত্র ও আসবাব বাইরে ফেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে চারতলা এই ভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

রাত পৌনে তিনটায় এই রিপোর্ট লেখা সময়ও ভবনে আগুন জ্বলছিল। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটকে আগুন নিভাতে দেখা যায়। আগুনে ভবনটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

প্রথম আলোর এই ভবনের পাশের একটি ভবনে পত্রিকাটির বার্তা বিভাগ। সেখানে থাকা কর্মীরা নিরাপদে সরে গেলেও পত্রিকাটির দ্বিতীয় সংস্করণ আর প্রকাশ হয়নি। এছাড়া হামলা শুরুর পর রাতে অনলাইন বিভাগও আর সচল দেখা যায়নি।

এদিকে, প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে অবস্থিত ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু হয়।

বিক্ষুব্ধরা প্রথমে পত্রিকাটির নিচতলায় ভাঙচুর চালান। পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আগুন দেয়ার কারণে ভবনে পত্রিকাটির অনেক কর্মী আটকা পড়েন। ভাঙচুর করতে ভবনে প্রবেশ করা কয়েকজন লোকও সেখানে আটকা পড়েন।

পত্রিকার কয়েকজন কর্মী ভবনে আটকা পড়ে উদ্ধারের আকুতি জানান। তারা ফেসবুকেও নিজেদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এক পর্যায়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা চালান ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধদের শান্ত করতে চেষ্টা চালান। তাদের চেষ্টায় এক পর্যায়ে হামলাকারীরা পিছু হটলে ফায়ার সার্ভিস ও আশপাশের লোকজন উদ্ধারের কাজ শুরু করেন।

রাত আড়াইটার দিকে ভবনে থাকা লোকজনকে নিচে নামানো হয়। তখনও বিক্ষুব্ধ লোকজন সড়কে অবস্থান করছিলেন। হামলার কারণে ডেইলি স্টারও দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করতে পারেনি। এছাড়া পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণ রাতে কোন আপডেট দিতে দেখা যায়নি।

কাওরানবাজারে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে সামনের প্রধান সড়কে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে।দুটি মিডিয়ার কার্যালয়ে হামলার সময় প্রথমে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা হাজির হলেও ব্যাপক সংখ্যক উপস্থিতির কারণে হামলা, ভাঙচুর ঠেকাতে তাদের তেমন কোনো ভুমিকা দেখা যায়নি।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.