December 25, 2025, 11:45 pm


শাহীন আবদুল বারী

Published:
2025-12-25 21:44:49 BdST

আই হ্যাভ এ প্লান ফর মাই পিপল এন্ড কান্ট্রি


"আমি প্রথমে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে লক্ষ কোটি শুকরিয়া জানাতে চাই, রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আজ আমি আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি, আপনাদের দোয়ায়।" হৃদয় ভরা কন্ঠে তারেক রহমান মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে এভাবেই তার বক্তব্য শুরু করেন দেশের আপামর জনগণ এবং বিএনপির লাখো কোটি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে।

দীর্ঘ ১৭ বছর ৩ মাস ১৫ দিন পর জনতার উত্তাল স্রোতে তারেক রহমানের রাজসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর মার্টিন লুথারের আই হ্যাভ অ্যা ড্রিমের উক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আই হ্যাভ এ প্ল্যান ফর মাই পিপল এন্ড কান্ট্রি"। সেই প্ল্যানটা হলো বাংলাদেশকে নিয়ে, বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, সবাই মিলে নিরাপদ দেশ গড়ার সময় এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক মহাপ্র‍ত‍্যাবর্তনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ৩০০ ফিট এলাকা জনসমুদ্রে পরিপূর্ণ হয়। বাংলার ইতিহাসে আবেগঘন এক অধ্যায় ছিলো তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন। লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল, রাজপথে মানুষের ঢেউ—প্রমাণ করে দিয়েছে দেশনেতা তারেক রহমান কেবল একটি নাম নন, তিনি জনগণের হৃদয়ের স্পন্দন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঢাকার ৩০০ ফিটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া মাত্রই লক্ষ কোটি ও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীরা বলতে থাকেন- তারেক রহমান বীরের বেশে, আসছে ফিরে বাংলাদেশে’। এসময় নেতাকর্মীদের মধ্যে স্লোগান ও উদ্দীপনায় মুখরিত হয়ে ওঠে। আকাশে-বাতাসে শান্তির নীড় বয়ে আনে। বার বার একই স্লোগানে মুখরিত হয়। নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বাংলাদেশে এত বৃহৎ আয়োজন আর হয়নি। দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন তারেক রহমান। তারেক রহমানের এই স্বদেশ ফেরার আয়োজন বিশাল। এই সমাবেশ শুধু দলের জন্য নয়, পুরো দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। নেতাকর্মীরা দীর্ঘ ১৭ বছর পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানাতে ঢাকায় আসেন। এটি আমাদের দলের শক্তি, ঐক্য ও একতার প্রতিফলন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এই সমাবেশ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন উদ্দীপনা যোগ করবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের ভ্রমণকালে স্লোগান ও উদ্দীপনার মাধ্যমে দলের একতা প্রদর্শন করছেন। যা আমাদের রাজনীতির জন্য এক নতুন উদ্দীপনার সংকেত।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, আমার একটি পরিকল্পনা আছে। দেশের মানুষের জন্য, আমার দেশের জন্য। ৭১, ৭৫, ৯০ ও ২৪ এর সংগ্রাম স্মরণ করেন তারেক রহমান।

জনগণের ভালোবাসা এবং আদর্শের প্রতীক তারেক রহমান বলেন, সবাই মিলে নিরাপদ দেশ গড়ার সময় এসেছে। তিনি বলেন, "আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান, ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি"। সেই প্ল্যানটা হলো বাংলাদেশকে নিয়ে, বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে একটি বিশেষ বাসে করে ৩০০ ফিটের উদ্দেশে রওনা দেন। দলীয় নেতাকর্মীরা রাস্তার দুধারে হাত নেড়ে নেতাকে স্বাগত জানান। ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর মঞ্চে পৌঁছান তারেক রহমান।

দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন তারেক রহমান।

ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে প্রথমে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে একে একে আলিঙ্গন করেন। এছাড়া উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।

এরপর তারেক রহমানকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন তার শাশুড়ি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান এবং দেশে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা।

বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে ৩০০ ফিটে রওনা দেন তারেক রহমান। এর আগে অন্য একটি গাড়িতে করে বিমানবন্দর থেকে বের হন তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান ও একমাত্র সন্তান জাইমা রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা। তারা সরাসরি গুলশানের বাসভবনে যান।

সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি সিলেট ওসামানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে এক ঘণ্টা বিরতির পর ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে বিমানটি।উল্লেখ্য, তারেক রহমানকে বহনকারী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিজি-২০২ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।

জনগণের হৃদয়ের স্পন্দন তারেক রহমান

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের অবর্তমানে বিএনপি টিকবে না এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। দলের দুঃসময়ে অনেক নেতাকর্মী কেটে পড়েন। ঠিক সেই সময়ে ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করে দলের হাল ধরেন দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া। তিনি আজ সংকটাপন্ন। তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। গৃহবধূ বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ়চেতা, নিরাপস ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যায় বিএনপি । তিনি আরও বলেন, দোর্দণ্ড প্রতাপশালী স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করে এক দশকের মাথায় ১৯৯১ সালে বিপুল সমর্থন নিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় বিএনপি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে জন্ম হয় দেশের অন্যতম বৃহৎ মধ্যপন্থি এই রাজনৈতিক দলটির। চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা বিএনপি দীর্ঘ দেড় যুগের ঘোর অমানিশা কাটিয়ে আবার রাষ্ট্রক্ষমতা হাতছানি দিচ্ছে। স্বস্তির শ্বাস নিতে পারছে দলটি । ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় এক অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও পলায়নের পর ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

প্রায় ১৯ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ও জিয়া পরিবার এখনও বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কালজয়ী জাতীয়তাবাদী আদর্শ আর উন্নয়ন, উৎপাদন ও জনগণতান্ত্রিক রাজনীতিই বিএনপির মূল শক্তি। সেই আদর্শ থেকে খানিকটা বিচ্যুতি ঘটেছে—এমন অভিযোগ ও আক্ষেপ করছেন গতকাল তারেক রহমানের গণসংবর্ধনা সভায় আসা ত্যাগী নেতাকর্মীরা।

বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ জানান, তারেক রহমান আসাতে বিএনপির বিভক্ত নেতাদের মধ্যে কিছুটা দাগ কেটেছে। এবার আর এই বিভক্তি থাকবেনা। দলীয় কোন্দলের কারণে ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী ও সংস্কৃতিসেবীর মতো সামাজিক শক্তিগুলোও বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে বিএনপিকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী, গুলশান, বনানী, মহাখালী, কুড়িল, বিমানবন্দর, এমইএস ও বিশ্বরোড সহ ঢাকার অলিগলিতে লক্ষ কোটি মানুষের জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর প্রায় সব এলাকা থেকে দল বেঁধে ট্রাক-বাস কিংবা মোটরসাইকেলে করে স্লোগান দিতে দিতে ৩০০ ফিট ও বিমানবন্দরের দিকে যান বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা স্লোগান দিচ্ছেন—‘তারেক রহমান আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসছে ফিরে বাংলাদেশে’, ‘তারেক রহমান ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’। তারেক রহমান বীরের বেশে, আসছে ফিরে বাংলাদেশে’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে।

সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কয়েস লোদী বলেন, এই সমাবেশ শুধু আমাদের দলের জন্য নয়, পুরো দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। নেতাকর্মীরা দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানাতে ঢাকায় যাচ্ছেন। এটি আমাদের দলের শক্তি, ঐক্য ও একতার প্রতিফলন।

চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য ও মিডিয়া সেলের সিনিয়র সদস্য ও শায়রুল কবির খান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এই সমাবেশ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন উদ্দীপনা যোগ করবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ আহমদ চৌধুরী বলেন, নেতাকর্মীদের এই উচ্ছ্বাস এবং অংশগ্রহণ আমাদের দলের ঐক্য ও শক্তি প্রমাণ করছে। প্রতিটি জেলা থেকে নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন এবং এটি একটি ঐতিহাসিক দৃশ্য। আমরা আশা করি, এই প্রত্যাবর্তন শুধু দলের জন্য নয়, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেরণা হবে। নেতাকর্মীরা স্লোগান, গান ও উদ্দীপনার মাধ্যমে দলের প্রতি তাদের সমর্থন ও ভক্তি প্রকাশ করছেন, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে বিএনপির শক্তি পুনঃপ্রকাশ করবে।

রাজধানীর হাতিরপুল থেকে ৩০০ ফিটের দিকে হেঁটে আসছিলেন যশোর থেকে আহমেদ তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, মহাখালী পর্যন্ত গাড়ি দিয়ে আসতে পেরেছি। তারপরে রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া আছে। সেখান থেকে হেঁটে মঞ্চে আসি। আমার মতো লাখ লাখ মানুষ তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে হেঁটে ৩০০ ফিটে আসছে। তারপর ও ভালো লাগছে আনন্দ পাচ্ছি।

মহাখালী থেকে বিশ্বরোডের দিকে হেঁটে আসছিলেন সিরাজগঞ্জ থেকে আসা আয়নাল। বন্ধুদের নিয়ে ১৫ জন একসঙ্গে এসেছেন তারা। বনানী এলাকায় কথা হয় রাজনের সঙ্গে।

তিনি বলেন, রাতের বাসে ঢাকায় এসেছি। মহাখালী থেকে আর কোনো গাড়ি পাইনি। তাই অন্যদের মতো হেঁটেই সমাবেশ স্থলে আসছি। মিরপুরের লালন মিয়া বলেন, এমইএসে সড়কে পায়ে হাঁটা মানুষের ঢল। বিশ্বরোড এলাকায় এরই মধ্যে হাজার হাজার বাসের জটলা পড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ৩০০ ফিট এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। ৩০০ ফিটের দিকে আসে শত শত মিছিল। বাস ও ট্রাকে আসতেই ছিল নেতাকর্মীরা।

গণসংবর্ধনা মঞ্চের বিশেষ চেয়ার সরিয়ে সাধারণ প্লাস্টিকের চেয়ারে বসেন তারেক রহমান

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন তারেক রহমান। লাল-সবুজ রঙে সাজানো একটি বাসে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান তারেক রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি মঞ্চে ওঠেন। তার সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা ছিলেন। গণসংবর্ধনাস্থলের মঞ্চে উঠেই নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তিনি। এরপর গণসংবর্ধনাস্থলের মঞ্চে নিজের জন্য বরাদ্দকৃত কাঠের একটি বিশেষ চেয়ার সরিয়ে রেখে সাধারণ একটি প্লাস্টিকের চেয়ার টেনে সেটাতে বসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঞ্চে মির্জা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত বর্তব্য শেষে মূল বক্তব্য দেন তারেক রহমান। এরপর গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষ হলে অসুস্থ মাকে দেখতে লাল-সবুজ রঙে সাজানো বাসটিতে চড়ে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

জানতে চাইলে যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু জানান, আপনারা জানেন জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে লক্ষ কোটি মানুষের ঢল নেমেছে। বেগম জিয়া একদিন বলেছিলেন যেদিন তারেক রহমান আসবেন সেদিন তাকে স্বাগতম জানাতে এয়ারপোর্টে লক্ষ কোটি মানুষের সমাগম ঘটবে। বেগম জিয়ার সেই কথাই সত্যি হলো।

তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে আজ বিমানবন্দর ও ৩০০ ফিট এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের জনস্রোত নামে এবং স্লোগানে মুখর ছিল ঢাকাসহ সারাদেশের রাজপথ। আজ বাংলাদেশের প্রাণ এদেশের সন্তান আমাদের প্রিয় নেতা ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসছে ফিরে বাংলাদেশে’।

তারেক রহমানের সঙ্গে এসেছে তার পোষা বিড়াল 'জেবু'

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেশে এসেছে তার পোষা বিড়াল জেবু। জেবুকে একটি বিশেষ খাঁচায় করে আনা হয়। পরে বিমান থেকে নামিয়ে তারেক রহমানের পরিবারের সদস্যদের কাছে দেওয়া হয়। তারেক রহমানের ব্যস্ততার ফাঁকে বিড়ালের সঙ্গে খুনসুটি করার ছবি এর আগে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

জেবু সম্পর্কে তারেক রহমান বলেন, ‘বিড়ালটি আমার মেয়ের। ও এখন অবশ্য সবারই প্রিয় হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই ওকে আদর করি।’

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.