September 20, 2024, 4:36 am


সামিউর রহমান

Published:
2024-08-03 06:01:23 BdST

সরকারের পদত্যাগেই কি সমাজের বৈষম্য দূর হবে?


অতীতকে না ভুলে এবং ভবিষ্যৎকে নিরাপদ করতে হলে বর্তমানে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে বৃহত্তর স্বার্থে সব পক্ষকে সংযত হতে হবে। 

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থী, সরকার ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ছাত্রলীগের মধ্যে ব্যাপক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। এখানে কেউ দায় অস্বীকার করতে পারবে না। 

আবেগে প্রশ্নবিদ্ধ সব পক্ষ

প্রথমত, আন্দোলনে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারনী মহলের সহমত পোষণ এবং শতভাগ দাবি পূরনের নিশ্চয়তা পাওয়ার পর যদি আন্দোলনের সমন্বয়করা ছাড় দেয়ার মানসিকতা দেখাতেন এবং ধৈর্য্য ধারন করতেন তাহলে হয়তো তৃতীয় পক্ষ ফায়দা হাসিল করার সুযোগ পেতো না। এখানে আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দ আবেগকে পাশ কাটিয়ে বাস্তবতা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সিদ্ধান্ত গ্রহনে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কারনেই এমনটা হয়েছে বলে মনে হয়।

দ্বিতীয়ত, সরকার পরিস্থিতির কারনে কঠোর হতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির অতি উৎসাহী মনোভাব, পরিস্থিতি ও বাস্তবতার গুরুত্ব অনুধাবন না করে অপ্রাসঙ্গিক বিবৃতি প্রদান করার কারনে। প্রধানমন্ত্রীও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি বলেই তাকে টার্গেট করা হয়েছে। এখানে একটি পক্ষ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে আন্দোলনকারীদের উস্কে দিয়েছে।

তৃতীয়ত, আন্দোলন যখন জমে উঠছিল তখন এই আন্দোলনে চোখ পড়ে নেপথ্যে থাকা সুযোগ সন্ধানীদের। এসব সুযোগসন্ধানীরা শিক্ষার্থী আর চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলনের সঙ্গে সুকৌশলে মিশিয়ে দেয় একদল বিপথগামী কিশোর-যুবকদের।

এসব উচ্ছৃঙ্খল কিশোর-যুবক আন্দোলনকারীদের ওপর ভর করে প্রথমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ছুড়তে থাকে ইট-পাটকেল। ক্ষুব্ধ করে তাদের। নেপথ্যে যারা কলকাঠি নেড়েছে তারা বুঝেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ক্ষেপিয়ে না তুললে এই আন্দোলন জমবে না।

আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলনের ব্যাপারে সহনশীল আচরন করার পরও নিজেদের সদস্যদের আক্রান্ত হওয়া এবং কিছু জায়গায় সহকর্মীদের নির্মম পরিনতি মেনে নিতে পারেনি। তারাও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি বলেই পরবর্তীতে আগ্রাসী হয়ে পড়েন। এর করুণ পরিণতি ভোগ করে একদল নিরীহ শিক্ষার্থী আর পথচারী। একের পর এক নিরীহ শিক্ষার্থী আর পথচারী বুলেটে রক্তাক্ত হয়। পরিস্থিতি সমাধানের বদলে সংঘাতের দিকে চলে যায়। ঠিক এমনটাই চেয়েছিল নেপথ্যের হোতারা। যারা বসেছিল এমন এক মোক্ষম আন্দোলনকে পুঁজি করতে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ব্লক রেইড বা গনগ্রেফতার না করে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমানের ভিত্তিতে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ ছিল।

চতুর্থত, সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের প্রতি অনেকের মনে প্রবল বিতৃষ্ণা। এর অনেক যৌক্তিক কারণও আছে। সেই বিষয়গুলো ছাত্রলীগের উপলব্ধিতে নেওয়া উচিত। বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগই প্রথম আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এরপর তারা নারী শিক্ষার্থীদের যেভাবে পিটিয়েছে সেটা কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন এখন অনেকটাই সর্বজনীন এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এই আন্দোলন কারা শুরু করেছিল?

২০০৩-০৪ সাল। ক্ষমতায় বিএনপি জামায়াত জোট সরকার। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের উত্তর পশ্চিম পাশের লেকচার থিয়েটার ভবন এলাকা থেকে শিবিরের কিছু ছেলে প্রায়ই মুক্তিযোদ্ধা বাতিলের স্লোগান নিয়ে মিছিল বের করতো। মিছিলটি মধুর ক্যান্টিন অতিক্রমের চেষ্টা করলে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে পালিয়ে যেত শিবিরকর্মীরা।

কিছুদিনই পরপরই তখন এই ঘটনা ঘটতো। সেই সময় যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, অনেকেই এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। সময়ের পরিক্রমায় সেই আন্দোলন বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে এখন সর্বজনীনের কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়ে গেল! দেড় দশকের বেশি সময় ধরে সেই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীরাই এবারের আন্দোলনে ওত পেতে ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে?

বর্তমানে অনেকেই ছাত্রলীগ নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছেন। কেউ কেউ তো ছাত্রলীগকে দানবীয় রূপ পর্যন্ত দিয়ে ফেলার অপচেষ্টা করছেন। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই যোগ দিচ্ছেন সেই কাতারে। কিন্তু তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন, কিংবা জানার চেষ্টা করেছেন বিএনপি জামায়াত আমলে, স্বৈরাচার এরশাদের আমলে কেমন ছিল দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অবস্থা?

তখনকার সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনগুলো অস্ত্রের ঝনঝনানিতে ক্যাম্পাসগুলো কেমন উত্তপ্ত করে রেখেছিল? ছাত্রদল, ছাত্র সমাজ কিংবা শিবিরের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে কত প্রাণহানি ঘটেছিল, সেই হিসাব, সেই ইতিহাস আজকের তরুণেরা জানার চেষ্টা করছেন? করেছেন কখনো?

শামসুন্নাহার হলের বর্তমান শিক্ষার্থীরা কি ভুলে গেছেন ২০০১ সালের ট্রাজেডি? রাতের আঁধারে সেদিন কীভাবে পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের পূর্বসূরিদের ওপর! হলের ভেতর ঢুকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এবং পুলিশ মিলে কেমন বেধড়ক পিটিয়েছিল তাদের! সব ভুলে গেলেন তারা?

এই দেড় দশকের ক্যাম্পাসগুলোর চিত্র কি এমন ভয়াবহ? হয়তো ছাত্রলীগও ধোয়া তুলসী পাতা না। তাদেরও অনেক ব্যত্যয় আছে এবং একটি ব্যত্যয় বা অনিয়ম অন্য আরেকটি অনিয়মকে জাস্টিফাই করে না। শুধু প্রেক্ষাপট বোঝানোর জন্যই বিষয়টি বলা।

কেমন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ছাত্রীরা নিজেদের রাজাকার বলে স্লোগান দিতে পারেন? একাত্তরের ২৫ মার্চের কালরাতের ভয়াবহ বিভীষিকা, রক্তের দাগ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ধর্ষিত, শহীদ শিক্ষার্থীদের আর্তনাদ মাত্র ৫০ বছরে মুছে গেল এই হল থেকে? এই হলের শিক্ষার্থী যারা নিজেদের রাজাকার বলতে দ্বিধা করেননি, তাদের বুক একটুও কাঁপলো না?

আন্দোলনের সুবিধাভোগী ও নাশকতাকারী কারা?

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের আপামর মানুষের সমর্থন ছিল। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায় তাদের চাওয়ার সঙ্গে মিলে গেছে। এনিয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি হয়ে গেছে। তাহলে এখনো কোন যুক্তিতে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা বলছেন তারা? যেসব দাবি দাওয়া এখন তারা জানাচ্ছেন সেগুলো কি তাদের অ্যাজেন্ডায় ছিল?

কিছুদিন ধরেই আলোচনায় ছিল এই আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গেছে। মূলত কমপ্লিট শাটডাউনের পরই শুরু হয় ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহ তাণ্ডবলীলা। ঢাকাবাসীর স্বস্তির বাহন মেট্রোরেলের স্টেশন থেকে শুরু করে সেতু ভবন, ডাটা সেন্টার, ত্রাণ দুর্যোগ অধিদফতরের ভবন, রামপুরায় বিটিভি ভবনসহ অসংখ্য সরকারি বেসরকারি স্থাপনায় বর্বরতম উপায়ে চালানো হয় নাশকতা। পুলিশ বক্স, আনসার ক্যাম্প থেকে শুরু করে রাস্তার আশপাশের অনেক স্থাপনায়ও চালানো হয় ব্যাপক নাশকতা।

নরসিংদীর কারাগার ভেঙে পালাতে সাহায্য করা হয় কয়েদিদের, এর সাথে পালিয়ে যায় শীর্ষ জঙ্গিরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট করা হয়। লুটতরাজ চালানো হয় বিভিন্ন অফিস কার্যালয়েও। চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতাদের ফেলে দেওয়া হয় পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে। কারা ছিলেন এইসব নাশকতার পেছনে?

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, মূলত জামায়াত শিবির এবং বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কর্মীরা জড়িত এসব কর্মকাণ্ডে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে তারা চেয়েছিল নিজেদের স্বার্থ সমাধা করতে। চেয়েছিল অরাজক পরিবেশ তৈরি করে দেশকে চরম অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হিসেব বলছে, সারাদেশে তাদের সতেরশো সদস্য আহত হয়েছেন। নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন অনেকে। হিসাব যেহেতু এখনো চলমান তাই সংখ্যাটা নির্দিষ্ট নয়।

এছাড়া এই সহিংসতায় আহত ও নিহত হয়েছেন বহু মানুষ। আহত ও নিহতদের তালিকাও এখনো চলমান। অনেকে আবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছেন।

দায় কার?

এতগুলো প্রাণের চলে যাওয়ার দায় আসলে কার? এই মুহুর্তে সেটি আগে খুঁজে বের করা অবশ্যই জরুরি। আরও জরুরি এগুলোর জন্য দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা।

সুনির্দিষ্টভাবে যদি বলি, এই সংঘাতময় পরিস্থিতি হওয়ার দায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কোনোভাবেই এড়াতে পারেননা। পরিস্থিতির গভীরতা অনুধাবন করে এবং দেশ ও দলের বৃহত্তর স্বার্থে তাদের পদত্যাগ করা উচিৎ।

অন্যদিকে, পুলিশের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যর্থতা, অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ড এবং অযাচিত ও অপেশাদারি আচরনের জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। সম্প্রতি গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসকল সদস্য দায়ী; তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রায় সবাই বলছেন, শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর নাশকতার সঙ্গে জড়িত নন। এসবই সুযোগসন্ধানী দুর্বৃত্তদের কাজ। কিন্তু যেহেতু তাদের কর্মসূচি উপলক্ষ করেই অপরাধীরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নাশকতা সৃষ্টির সুযোগ করে নিয়েছে, সুতরাং এর দায় পরোক্ষভাবে হলেও কিছুটা শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এটা তাদের বুঝতে হবে।

ক্যাম্পাসগুলোয় সহাবস্থানের রাজনীতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন ছাত্ররাজনীতির সামগ্রিক কল্যাণের জন্যই।

বর্তমানে যারা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের কিছু বিষয় দেশ ও জাতির কল্যাণে বিবেচনায় নিতে হবে। 

পদত্যাগই কি স্থায়ী সমাধান?

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারের পদত্যাগ দাবিও আবেগের কারনেই চাওয়া হচ্ছে। সরকার পরিবর্তন হলেই যে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে, সকল প্রকার বৈষম্য সমাজ থেকে দূর হয়ে যাবে এমনটা ভাবা ভুল হবে। অন্তত আমাদের অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস সেটিই বলে।

কোটা বাতিল হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এই মুহুর্তে সরকারের পদত্যাগ দাবি না করে বৈষম্যগুলো দূর করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়াটাই জরুরি। কারন সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই বৈষম্যবিরোধী এবং যেকোন যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবী-কেন্দ্রিক আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল। এই মুহুর্তে তিনি যে সংস্কার করতে পারবেন অন্যরা কেউ সেটা করার চেষ্টাও করবে না।

সরকার পরিবর্তন হলে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা যে 'পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্য করবে না বা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিপীড়ন করবে না' এর কোন নিশ্চয়তা দিতে পারবে। আজ যারা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের এই বিষয়টি বুঝতে হবে।

তাদের বুঝতে হবে, কোটাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির ফলে আজ যে এতকিছু হয়ে গেল দেশে, এত সম্পদ নষ্ট হল তার নেপথ্যে যারা ছিল তারাই এখন উস্কানি দিচ্ছে, প্ররোচিত করছে, প্রভাবিত করছে সরকারের পদত্যাগ দাবি করতে। এর ফলে আবার একটি সংঘাতের মুখোমুখি সরকার ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আর ফায়দা হাসিল করবে তৃতীয় পক্ষ। 

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আত্মসমালোচনার সুযোগ আছে অনেক এবং দেশের পোড় খাওয়া এই দলটি সেটি করবে বলে আশা রাখি।

সবশেষে বলতে চাই, জয় হোক যেকোনো যৌক্তিক দাবির। মাথা তুলে দাঁড়াক মানুষের অমিত ন্যায্য অধিকারের কণ্ঠ। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারুক কোনো অশুভ শক্তি।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from Spot Light