11/21/2025
নিজস্ব প্রতিবেদক | Published: 2025-11-21 13:05:04
ছুটির দিনের সকালে শক্ত ঝাঁকুনিতে কেঁপে উঠল ঘরবাড়ি, আতঙ্ক ছড়াল ঢাকাসহ সারা দেশে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সময় স্থায়ী হওয়া এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত শিশু সহ ৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের সময় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার একটি ভবনের দেয়াল ধসে দশ মাস বয়সী এক শিশু মারা গেছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকায় এই ঘটনায় শিশুটির মাসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন।
নিহত ফাতেমা গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ ৫ নম্বর ক্যানেল এলাকার আব্দুল হকের কন্যা। তার বাবা ঢাকার শ্যামবাজারে ব্যবসা করেন।
আহতরা হলেন- ফাতেমার মা কুলসুম বেগম এবং তাদের প্রতিবেশী প্রবাসী মাসুদের স্ত্রী জেসমিন।
ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, “ভূমিকম্পের সময় একটি ভবনের দেয়াল ধসে দশ মাসের ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।”
গোলাকান্দাইল এলাকায় বাসিন্দা ইমতিয়াজ ভুঁইয়া বলেন, “ভূমিকম্প টের পেয়ে পর আমি ঘর থেকে বের হয়ে আসি। তখন আশেপাশের লোকজনের কাছে শুনি, একটি ভবনের দেয়াল ধসে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা গেছে।”
আরও পড়ুন: ৫.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপল ঢাকা, নিহত ৬
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর জানান, শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৭ ।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল ঢাকা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর ঘোড়াশালে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়।
২৬ সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্পে প্রাথমিকভাবে আতঙ্ক ছড়ায়, বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। এরপর আসতে থাকে প্রাণহানি আর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য।
এই ভূখণ্ডে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পেরও ইতিহাস রয়েছে। তবে গত কয়েক দশকের মধ্যে এমন প্রাণঘাতি ভূমিকম্প দেশের মানুষ আর দেখেনি।
ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, “দুটো প্লেটের সংযোগস্থল ইন্দো-বার্মা টেকটোনিক প্লেটে এই ভূমিকম্পটি হয়েছে। ভূমিকম্পের কম্পনের তীব্রতা ছিল বেশ। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”
ভূমিকম্পের সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে লোকজন বাসা থেকে বের হয়ে আসে। ঝাঁকুনিতে অনেকের বাসায় শেলফ ও টেবিল থেকে জিনিসপত্র পড়ে যায়।
কম্পন থামার পর ঢাকার বাড্ডা, ধানমন্ডিসহ কয়েকটি এলাকায় ভবনে ফাঁটল ধরার এবং পলেস্তরা খসে পড়ার খবর এসেছে।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81