March 10, 2025, 2:15 am


এফ টি ডেস্ক

Published:
2025-03-09 14:45:48 BdST

এস আলমের আশির্বাদে ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে রহস্যজনক উত্থান হাফিজুরের


বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাপক লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে ভঙ্গুর প্রায় দেশের অর্থনীতি । আওয়ামী লীগের মদদে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান দেশের ব্যাংকিং খাত ধ্বংস করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম এস আলম গ্রুপ । যাদের কালো থাবাই খাদের কিনারই আজ ইসলামি ব্যাংক। ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ থেকে শুরু করে দেশের ব্যাংকিং খাত লুটপাটে এমন কিছু নেই যা এস আলম গ্রুপ করেনি। দেশের অর্থনীতি ধংস ও লুটপাটের এই নিল নকশা বাস্তবায়নে এস আলম গ্রুপকে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম খান মোঃ হাফিজুর রহমান ।
ইসলামি ব্যাংকের সদ্য সাবেক এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এস আলমের দুর্নীতির অন্যতম সহযোগী হিসেবে বেশকিছু প্রমাণও মিলেছে । ভুয়া এলসি, ঋণ জালিয়াতির সহযোগিতা, হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচারসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।


এস আলমের আশীর্বাদে হাফিজুর রহমানও রাতারাতি বনে গেছেন বিত্ত বৈভবের মালিক ।অনুসন্ধানে যশোরের কোতোয়ালী এলাকার কৃষকের ছেলে হাফিজুরের অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান মিলেছে। এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরালেও বর্তমানে কূটকৌশলী সাবেক এই ব্যাংক কর্মকর্তার পরিবারের ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সন্ধান মিলেছে ।
গ্লোবাল ট্রেডিং কোম্পানি, প্রিজম ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, অর্গানিক ট্রেড কর্পোরেশন , এইচ আর ইন্টারন্যাশনাল, সানাহা এগ্রো ফার্ম ও মেসার্স ষ্টার ব্রিকস নামের প্রতিষ্ঠানগুলো হাফিজুর পরিবারের নামে।


স্থানীয়রা জানান, হাফিজুরের এক ভাই স্কুল শিক্ষক, একজন একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বাকিরা কদিন আগেও বেকার ছিলো। হঠাৎ করেই প্রায় ১০ কোটি টাকা দামের ৮ তলা বাড়ি, ৫ কোটি টাকার বেশি দামের জমি, খুলনায় প্রায় শত বিঘা জমি, ইটভাটাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়ে গেছে হাফিজুর পরিবার । এসব কিছুই হাফিজুর করেছেন , তবে নিজেকে আড়াল করতে ভাইদের নামে দিয়েছেন মালিকানা । যদিও এসব আড়াল থেকে তিনি নিজেই পরিচালনা করেন ।
কিন্তু হঠাৎ করে হাফিজুর এত টাকা কোথায় পেলেন সেই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই কারো ।


হাফিজুরের সম্পদের হিসাব মেলাতে গিয়ে উঠে আসে এস আলমের নাম। সিঙ্গাপুরে এস আলম পরিবারের সাথে হাফিজুরের যোগাযোগের বিষয়টিও উঠে আসে অনুসন্ধানে। এস আলম গ্রুপের কর্ণধাররা দেশের বাইরে পালিয়ে গেলেও তাদের সহযোগীদের নিয়ে চলছে তদন্ত ।গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধান শুরু হওয়াই এস আলমের অন্যতম এই সহযোগী নিজেকে আড়াল করতে ছেড়ে দিয়েছেন ইসলামিক ব্যাংকের চাকরি।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.