March 26, 2025, 3:59 am


নেহাল আহমেদ

Published:
2025-03-25 03:06:29 BdST

মুক্তিযুদ্ধে রাজবাড়ীর গণহত্যা


গণহত্যা জাতিগত, বর্ণগত, ধর্মীয় বা নৃতত্ত্বীয় গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচিত মানুষজনকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার জন্য ইচ্ছাকৃত কার্য। 'গণ'-এর অর্থ গোষ্ঠী এবং 'হত্যা'র অর্থ সংহার। অর্থাৎ, গণহত্যা হলো কোনো গোষ্ঠীভুক্ত মানুষজনকে মেরে ফেলা।

ইংরেজি প্রতিশব্দ জেনোসাইডের উৎসও একই। এটি গ্রিক জেনোস, অর্থাৎ মানুষ বা বর্ণ থেকে এবং সাইড অর্থাৎ মারা থেকে এসেছে। সেহেতু জেনোসাইডের বা গণহত্যার অর্থ "জাতীয়, নৃগোষ্ঠীয়, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে করা কার্য।

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ চালায় তা ছিল বিংশ শতাব্দীর অন্যতম নৃশংস গণহত্যা। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ২৫ তারিখ থেকে ৮ মাস ২ সপ্তাহ ৩ দিনের এই গণহত্যার স্বরূপ ছিল ভয়ঙ্কর। পরিকল্পিত পন্থায় বাঙালিদের খুন করা হয়েছে, গণহারে নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে; ঘরবাড়িতে আগুন দেয়াসহ অপহরণ, গুম ও বর্বর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে এসব বর্বরতায় সহযোগী ছিল বাঙালি ও অবাঙালিদের সমন্বয়ে গঠিত রাজাকার, আলবদর, আলশামস এবং শান্তি কমিটির সদস্যরা।

রাজবাড়ী জেলায় সারা দেশের মধ্যে ছিল একটু ভিন্ন প্রেক্ষাপট। এখানে প্রচুর বিহারীদের বসবাস ছিল।এখানে এক একটি বিহারী কলোনী ছিল এক একটা মিনি ক্যান্টনমেন্ট। রাজবাড়ী জেলায় অবাঙ্গালীরা এতই শক্তিধর ছিল যে বাংলাদেশ ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীন হলেও রাজবাড়ী শত্রুমুক্ত হয় ১৮ই ডিসেম্বর।

রাজবাড়ীতে যুদ্ধ হয়েছিল মুলত বিহারীদের সাথে। সারাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সহযোগিতায় এই হত্যাকাণ্ড চলে।

মুক্তিযুদ্ধে রাজবাড়ীতে সংগঠিত গণহত্যার ইতিহাসের পরতে পরতে রয়েছে প্রতিরোধ যুদ্ধ ও সেই সঙ্গে রয়েছে পাক হানাদার বাহিনীর গণহত্যার নিষ্ঠুর কাহিনী যার নীরব সাক্ষী জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত একাধিক বধ্যভূমি।

রাজবাড়ীর এই বধ্যভূমিগুলোতে অসংখ্য মাথার খুলি, হাড়গোড় ও চুল পাওয়া গিয়েছিল। চিহ্নিত করা গেছে বেশ কিছু স্থান। কিছু কিছু স্থান সংরক্ষণ করা হলেও অবহেলা আর অযত্নে রয়ে গেছে বহু স্থান। শুধু ১৪ই ডিসেম্বর নয়, পুরো নয় মাস ধরেই এখানে চলেছিল নারকীয় হত্যাকান্ড।

বন্দীশালা ও বধ্যভূমি থেকে বেঁচে আসা অনেকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায় এসব হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ বিবরণ যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

রাজবাড়ী জেলার যুদ্ধকালীন কমান্ডার বাকাউল আবুল হাসেম জানান, বন্দীদের বয়স অনুযায়ী নির্যাতন করা হত। দীর্ঘ সময় নির্যাতন করার পর তারা আটককৃতদের হাত-পা বেঁধে গুলি করে হত্যা করে নদী, জলাশয় ও গর্তে ফেলে রাখতো। এছাড়া একটি একটি করে অঙ্গচ্ছেদ করে গুলি করে হত্যা করতো। চোখ উপড়ে ফেলা, মাথায় আঘাত করে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা, মুখ থেঁতলে দেওয়া, বেয়নেট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হৃদপিণ্ড উপড়ে ফেলা, আঙ্গুলে সূঁচ ফুটানো, নখ উপড়ে ফেলা, শরীরের চামড়া কেটে লবণ ও মরিচ দেওয়া ছিল অত্যাচারের নিষ্ঠুর ধরন। মেয়েদের যোনিতে মরিচের গুড়া দেওয়া, পুরুষদের অন্ডকোষ থেঁতলে দেয়ার মতো ভয়ঙ্কর অত্যচার করা হত। কে কত টুকু নির্যাতন সহ্য করতে পারে তা দেখে নরপিশাচরা উল্লাশ প্রকাশ করতো।

লক্ষীনায়নপুরের কল্যানী জানান, তার স্বামীর ভাইয়ের দেহ থেকে মাথা কেটে সেই মাথা ঘরের দরজায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো।

মুক্তিযুদ্ধকালীন এসব গনহত্যার তথ্য, স্মৃতিচিহ্ন এবং স্মৃতিস্তম্ভসমূহ সংরক্ষণে এখনই উদ্যোগ নেয়া উচিৎ বলে মনে করছেন মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষ। স্বাধীনতার যেহেতু ৫০ বছর পার হয়ে গেছে তাই আরো দেরি হলে হয়তো সংরক্ষণের জন্য উপাদান পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এসব শুধু গল্পই হয়ে যাবে।

সংক্ষিপ্ত পরিসরে গণহত্যার ভয়াবহতা তুলে ধরা কষ্টকর। তবে আজকের এই প্রতিবেদনে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজবাড়ী জেলায় সংগঠিত পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত গনহত্যার বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করবো। পুরো রাজবাড়ী জেলায় অবাঙ্গালীদের তান্ডবে নারকীয় হত্যাযঞ্জের ইতিহাস এখনই সংরক্ষন করা না হলে অচিরেই হারিয়ে যাবে সব প্রমান।

কালুখালী রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশের বধ্যভূমি

কালুখালী রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশের বধ্যভূমিতে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়। এই সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট (অব.) আকামত আলী মণ্ডল বলেন, 'যুদ্ধের সময় কালুখালী রেলস্টেশনের ওই স্থানে একটি বড় খাল ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকাররা নিরীহ মানুষদের হত্যা করে ওই খালে ফেলত।

কালুখালীর মালিয়াট বধ্যভূমি

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মালিয়াট বধ্যভূমি সম্পর্কে মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলী খান জানান, এই জায়গাটিতে ছিল গহিন জঙ্গল আর গর্ত। পাক বাহিনী বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক নিরীহ মানুষদের ধরে এনে হত্যা করে এখানে ফেলে রাখত।

লোকোশেড বধ্যভূমি

রাজবাড়ীর লোকোশেড এলাকা ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্প। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দেওয়া হতো। তখন রাজবাড়ী রেলস্টেশন দিয়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করত। ট্রেন রাজবাড়ী রেলস্টেশনে থামলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের দোসররা বগিতে থাকা যাত্রীদের সন্দেহ হলে ধরে লোকোশেড ক্যাম্পে নিয়ে আসত। তারপর নির্যাতন করে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দিত।

এই বধ্যভূমি সংরক্ষণে রাজবাড়ী পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হয়েছে। কিন্তু এটি সংস্কার করা হয় না দীর্ঘদিন। যে কারণে স্মৃতিস্তম্ভটি অযত্ন ও অবহেলায় নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্মৃতিস্তম্ভটির কোনো সাইনবোর্ড বা কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে তা কোথাও লেখা নেই। ভেতরে গরু-ছাগল চরছে। ছোট ছেলেরা খেলাধুলা করছে।

গোয়ালন্দের গণহত্যা

১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল সকাল নয়টার দিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে গোয়ালন্দের উজানচরের বাহাদুরপুর ঘাটে আসে। এখানে মুক্তিযোদ্ধা ও সম্মিলিত জনতা তাদের বাধা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। প্রতিরোধযুদ্ধে শহীদ হন আনছার কমান্ডার ফকির মহিউদ্দিন।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঘাট দখল করে অদূরে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে প্রবেশ করে গ্রামের ২১ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর অবাঙালি বিহারি ও রাজাকাররা ব্যাপক লুটপাটের পর গ্রামটি জ্বালিয়ে দেয়।

স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলের মাঠে এই ২১ শহীদের স্মরণে একটি নামফলক তৈরি করা হয়েছে।

ছোটভাকলার বালিয়াকান্দি গ্রামে গণহত্যা

ছোটভাকলার বালিয়াকান্দি গ্রামে ২৭ এপ্রিল কুখ্যাত বিহারি সাইদ, ইউনুছ, সামিমসহ ১৫ থেকে ২০ জনের সশস্ত্র একটি দল স্থানীয় জমিদার যামিনী রঞ্জন রায়ের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা জমিদারের শ্যালক হরেকৃষ্ণ, পার্শ্ববর্তী জমিদার মুহিত কুমার সাহার ছেলে মৃগেন্দ্র নাথ সাহা, জমিদারবাড়িতে আশ্রয় নেওয়া স্কুলপণ্ডিত পরেশ চন্দ্র চক্রবর্তী ও পণ্ডিতের ভায়রাকে (অজ্ঞাত) গুলি করে হত্যা করে। এরপর বিহারিরা জমিদারবাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালায়।

বিহারিরা চলে যাওয়ার পর রাত ১০টার দিকে স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আবদুল আজিজ শিকদার ও অনীল চন্দ্র বৈরাগী লাশগুলো জমিদার বাড়ির পেছনে গর্ত করে পুঁতে রাখেন।

পাংশার তারাপুর ব্রিজ বধ্যভূমি

১৯৭১ সালের ২১ মে পাংশার বাবুপাড়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর বাহিনী এলাকার নিরীহ ৩৬ জনকে হত্যা করে রেলব্রিজের নিচে পুঁতে রাখে।

পাংশার বধ্যভূমি সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলী খান জানান, সেদিন ছিল ২১শে মে। পাকিস্তান বাহিনী রেলগাড়িতে করে এসে নামে মাচপাড়া রেলস্টেশনে। এরপর পশ্চিম পাশে মথুরাপুর, কালিনগর ও রামকোল বাহাদুরপুর গ্রামে ঢুকে বাড়িঘর জ্বালিয়ে–পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। এদের সঙ্গে মিলিশিয়া, বিহারি, রাজাকার ও শান্তি কমিটির লোকেরাও যোগ দেয়।

গ্রামগুলো থেকে ৩৬ জন নিরীহ মানুষকে ধরে বেয়নেট দিয়ে খোঁচাতে খোঁচাতে তারাপুর রেলব্রিজের কাছে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে তখনো কেউ কেউ বেঁচে ছিলেন। তখন ছিল বর্ষাকাল। ব্রিজের নিচ দিয়ে স্রোত বইছিল। নরপশুরা ওই ৩৬ জনের সবাইকে ব্রিজের নিচে ফেলে দিয়ে হত্যা করে।

এছাড়া মাচপাড়া রেলস্টেশনের কাছে ইন্দারার মধ্যেও পাকিস্তান সেনাবাহিনী অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে ফেলে দেয়। যাদের একজন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হরেন্দ্রনাথ সরকার। তিনি অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। তাকে বিনা কারণে হত্যা করে ইন্দারার মধ্যে ফেলা হয়।

এই তারাপুর বধ্যভূমি সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সেখানে বাঁশের বেড়া দিয়ে রেখেছে মাত্র। কিন্তু সচেতন মহল মনে করেন, বধ্যভূমি সংরক্ষণে সরকারের আরও জোরালো ভূমিকা নেওয়া দরকার।

কল্যাণপুরের গণহত্যা

রাজবাড়ীর কল্যাণপুরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ২৫ জন নিরীহ মানুষকে। এসব বধ্যভূমিতে রয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ।

যুদ্ধকালীন মেডিকেল ক্যাম্প

মুক্তিযুদ্ধের সময় সারাদেশে ডাক্তারদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিলো। সরাসরি যুদ্ধ হয়তো অনেকেই করেননি কিন্ত যারা যুদ্ধ করে আহত হয়েছিলেন তাদের চিকিৎসা দেবার জন্য দেশের অনেক স্থানেই গড়ে উঠেছিলো মেডিকেল ক্যাম্প।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি সেক্টরের হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে একটি করে মেডিকেল ইউনিট ছিল। জনবল ও যন্ত্রপাতির দিক থেকে সব সেক্টরের মেডিকেল স্থাপনা অবশ্য সমান ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের সময় আহতদের জটিল ও সমন্বিত চিকিৎসাগুলো দেওয়া হতো মূলত ভারতীয় কোনো হাসপাতালে।

রাজবাড়ীতে যুদ্ধের সময় গড়ে উঠেছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্প। রাজবাড়ী শহরের অদুরে রামকান্তপুর ইউনিয়নে এমনই একটি মেডিকেল ক্যাম্পের কথা জানা য়ায়।

সম্প্রতি, রামকান্তপুরের কোলারহাটে যুদ্ধের সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় নেয়া একটি বাড়ীকে গনহত্যার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে সরকারী উদ্যোগে সংরক্ষনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এই বাড়িটি যুদ্ধকালীন সময়ে মেডিকেল ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই স্থানটি বর্তমানে বেথুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত।

এই মেডিক্যাল ক্যাম্পে যারা ডাক্তার হিসাবে কাজ করেছেন তাঁদের মধ্যে একজনের নাম জানা গিয়েছে। তিনি হচ্ছেন ডাঃ গোলাম মোস্তফা।

যুদ্ধের সময় ২৪ বছর বয়সী হোসেন আলী মৃধা সম্প্রতি জানান, ইলিয়াস আলী নামে একজন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এলে মোস্তফা ডাক্তার তাকে চিকিৎসা করেন। অবস্থা খারাপ হলে তাকে কোথায় যেন নিয়ে যাওয়া হয়।

এই ক্যাম্পে চিকিৎসা নিয়েছিলেন রাজবাড়ী জেলার অন্যতম বীর মুক্তিযোদ্ধা বাকাউল আবুল হাশেম।

তিনি জানান, এখানে প্রতিদিন চার পাচঁজন করে মুক্তিযোদ্ধারা আসতো আহত হয়ে। তাদের নাম মনে নাই। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা সর্বোচ্চ সেবাযত্ন করতাম। যুদ্ধের ৫২ বছর হয়ে গেল; আজ পর্যন্ত কেউ আমার কাছে এই বিষয়ে জানতে আসে নাই। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি অযত্নে, অবহেলা আর অসচেতনায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

লেখক একজন কবি ও সাংবাদিক

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.