February 24, 2025, 12:23 am


অনলাইন ডেস্ক:

Published:
2024-10-02 16:56:05 BdST

জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সিনিয়র নার্সরা বৈষ্যমের শিকার


জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালের নার্সিং অফিসাররা এক দফা আন্দোলনে নেমেছেন। তারা বলেছেন, ডিজি এনএম, নার্সিং রেজিষ্টার অফিসে উদ্ধর্তন চেয়ারপার্সন নাসিং বিভাগের বহির্ভূত ক্যাডারদের দ্বারা নিয়ন্ত্রীত হচ্ছে। তাতে নাসিং প্রফেশনে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। নার্সিং প্রফেশনে আলাদা প্রশাসনিক নিয়ম কানুন আছে। সে সম্পর্কে উচ্চতর ডিগ্রী ধারীরা অবগত রয়েছেন। কিন্ত অন্য বিভাগের লোকজন নার্সিং প্রফেশন সম্পর্কে অবগত নয়। তাদের আলাদা একটি কারিকুলাম আছে। নার্সরা চাচ্ছেন নিজস্ব প্রফেশনের উচ্চ শিক্ষিত নার্সদের পদায়নের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন হোক। এছাড়া প্রফেশনের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা ও জৈষ্ঠ্যতা অনুসারে উচ্চ পদে পদায়নের নিয়ম থাকা স্বত্ত্বেও পদায়ন করা হয়না। তাছাড়াও মেধার মূল্যায়ন হচ্ছেনা একমাত্র আমলাতান্ত্রিক কারণে।


আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের ভাষ্যমতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও অনেক দুর্নীতি হয়। অনেক শিক্ষিত নার্সরা নার্সিং ইন্সট্রাকটরদের জন্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও টিচার্স ডেভলপমেন্ট ট্রেনিং নিয়েও তাদের নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদায়ন করা হয়নি ।তাদের প্রশ্ন? পরীক্ষার সময় শর্ত ছিল ঢাকার বাইরে নার্সিং কলেজে পোস্টিং দেয়া হবে। কিন্তু কিছু নার্সদের আত্নীয় স্বজন আমলা এবং বড় পদে চাকরী করার সুবাধে পোস্টিং সুবিধা পেয়েছে। অথচ তারা কর্মক্ষেত্রে জুনিয়র। তাদের কারণে সিনিয়ররা বঞ্চিত হয়েছেন। তখন ডিজি এনএম ছিলেন মাকসুরা নূর এবং শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন রাসিদুল কবির মান্নাফ। তখন নার্সিং এর দায়িত্বে ছিলেন খোরশেদ আলম । তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে আছেন। 


আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বর্তমানে বক্ষ্যব্যাধি হাসপাতালে প্রশাসনিক বিভাগের হিসাব রক্ষক মো. তুহিন টেন্ডার বাণিজ্যের সাথে জড়িত। আউট সোর্সিংয়ের কর্মচারিদের বেতন ভাতা ধরা হয়েছে ২২ হাজার টাকা। কিন্তু তাদেরকে দেয়া হচ্ছে ১৭ হাজার টাকা। ৫ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত টাকা তুহিন ভোগ করছেন। আউট সোর্সিং এ কাজ নিতে প্রতিজন লোকের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়েছে তুহিন গংরা। বছর শেষে চাকরীর মেয়াদ শেষ হলে আবার নতুন করে ঘুষ নেয়া হয় দুই লাখ টাকা। পরিচালকের অজান্তে হিসাব রক্ষক তুহিন গং এবং ওয়ার্ড মাস্টাররা কোম্পানীর সাথে মিলে ভাগাভাগি করে নেয়। মেডিসিনের দায়িত্বে থাকা হাসেম বাবু বাইরে মেডিসিন বিক্রী করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। যন্ত্রপাতি কেনাকাটার দায়িত্বে থাকা আলী আকবর কম টাকায় যন্ত্রপাতি কিনে অতিরিক্ত বিল বাগিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়াও জরুরি বিভাগে যেসব ডাক্তার বসেন তারা রোগিদেরকে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নিজেদের নিযুক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে কমিশন বাণিজ্য করেন। ওষুধ কোম্পানী গুলো ডাক্তারদের কাছে জিম্মি। 

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.