September 20, 2024, 10:40 pm


সিয়াম হক

Published:
2020-06-22 20:42:58 BdST

করোনার মধ‌্যেও থেমে নেই মত্তুর্জাপুর কলেজের অনিয়ম-দূর্নীতি


করোনা সংকটে যখন অচল প্রায় গোটা দেশ, প্রতি দিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, ঠিক তখনই সমান তালে অনিয়ম-দুর্নীতি চলছে বগুড়া জেলার দুপচািচয়া উপজেলার মত্তুর্জাপুর কলেজে। সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব ধরণের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করলেও এর মধ্যেই সেখানে গঠিত হয়েছে নতুন পরিচালনা পর্ষদ। কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে। বর্তমানে শিক্ষার্থী আছেন ৩৪৭ জন। কিন্তু প্রত্যন্ত এই এলাকার শিক্ষার বিস্তারে যথেষ্ট অবদান রাখা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্তমানে পড়েছে দুবৃত্তদের কবলে। ১৮ই মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। বন্ধের সময় শিক্ষা কার্যক্রেমর পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন সংক্রান্ত সব কার্যক্রমর নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষামন্ত্রনালেয়র নির্দেশনার আলোকে এ ব্যপারে পরিপত্রও জানি করে রাজশাহি শিক্ষা বোর্ড। কিন্তু বিশ্বয়কর হলেও সত্য, সেই শিক্ষা বোর্ডের নতুন পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন দিয়েছে। গেল ৫/৫/২০২০ তারিখে মিজানুর রহমান সেলিম, সভাপতি করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় রাজশাহি শিক্ষা বোর্ড। আর সবচাইতে বড় অনিয়ম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নিয়োগে। শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নিয়ম অনুয়ায়ী উচ্চমাধ্যমিক মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ পেতে চাইলে প্রার্থীকে অবশ্যই এর আগে কোন এমপিওভুক্ত মহাবিদ্যালয়ে সহকারি অধ্যক্ষ পদে পাচ বছরের অভিজ্ঞতা সহ মোট বার বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। মত্তুর্জাপুর কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম মীর প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ পেয়েছেন ২০০১ সালের ২ মে। কিন্তু এর আগে তিনি শিক্ষক হিসাবে এমপিও ভুক্ত হয়েছেন পহেলা জানুয়ারি ১৯৯৫ সালে। অর্থৎ মাত্র ছয় বছরের অভিজ্ঞতা নিয়েই অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেছেন তিনি। এবিষয় অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম মীর বলেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারনা করা হচ্ছে। সে সময় কমিটি যে নিয়মে চাকরি বিধিবিধান ছিলো তাই মাধ্যমে তার চাকরি হয়েছে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা