March 20, 2025, 7:08 am


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2023-10-18 08:52:59 BdST

সৌদির ধূ ধূ মরুভূমিতে চোখ জুড়ানো সবুজ


সৌদি আরবের মরুভূমিতে চোখ জুড়ানো সবুজের সমাহার। ধূ ধূ মরুভূমিতে যতদূর চোখ যায় শুধু বালি আর বালি। গ্রিন হাউস এর মাধ্যমে সেই বালির বুক চিরে জন্মানো হচ্ছে লেবু, কমলা, ডালিম, আঙুর, ডুমুর, বাদাম ও জলপাই। এসব পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে কৃষিতে অসাধারণ সাফল্য অর্জনে নাম লিখিয়েছে সৌদি আরব।

আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম খামারের স্বীকৃতি পেয়েছে কৃষিতে সেচের জন্য নবায়নযোগ্য পানির ব্যবহারবিষয়ক গবেষণা ইউনিটের একটি খামার। এটি আসির অঞ্চলের ওয়াদি বিন হাশবালে অবস্থিত।

গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩২লাখ বর্গমিটারের বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত খামারটি দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রতিটিতে রয়েছে ৫লাখ লিটার ধারণক্ষমতা সমৃদ্ধ কংক্রিট ট্যাংক।টেকসই কৃষির ধারণাকে শুধু বাস্তবেই রূপ দেয়নি এই খামার, নিয়ে গেছে উৎকর্ষের শীর্ষে।

খামারটির বিশাল দুই ভাগ এলাকায় সেচের জন্য আছে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। বেশ কয়েকটি কাঠামোর সঙ্গে খামারটিতে আছে পাঁচটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গ্রিন হাউস।

রিয়াদে সৌদি রিফ প্রোগ্রামের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরিবেশ, পানি ও কৃষিবিষয়ক মন্ত্রী আবদুর রহমান বিন আবদুল মোহসেন আল ফাদলি এ অনুষ্ঠানে বিশ্বরেকর্ড গড়ার সনদ গ্রহণ করেন।

খামারটিতে তৈরি করা হয়েছে সেচের জন্য শক্তিশালী ব্যবস্থা। এখানে উৎপন্ন উদ্ভিদের সেচ, নিষিক্তকরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সরঞ্জামের ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। ফলদ উদ্ভিদের জন্য বরাদ্দ রাখা ৫০টি মাঠের দেখাশোনা করেন তারা। 

এ ছাড়া আরও ২০টি মাঠে অন্যান্য শস্য উৎপাদন করা হয়। অদূর ভবিষ্যতে আরও ২০টি মাঠে ফলের চাষ বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়।

উৎপাদিত ফসলের সেচের জন্য খামারটি নির্ভর করে ব্যবহৃত পানির ওপরই। আর এখানেই খামারটির স্থায়িত্ব। সর্বোচ্চ কৃষি মান নিশ্চিতে সম্পূর্ণ সেচ প্রক্রিয়াটি বিশেষজ্ঞদের একটি দল সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করে থাকে। খামারটিতে বেশি পরিমাণ উৎপাদিত হয় লেবু, কমলা, ডালিম, আঙুর, ডুমুর, বাদাম ও জলপাই।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.