September 21, 2024, 6:02 am


জেলা প্রতিনিধি,শরীয়তপুরঃ

Published:
2024-05-18 12:35:20 BdST

গোসাইরহাটের নক্ষত্র আলহাজ্ব শামসুর রহমান (শাহ্জাদা মিঞা) ও তাঁর ভাতিজা পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত


শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নলমুড়ি ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য বে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুর রহমান(শাহ্জাদা মিঞা) গত ১৩ মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ বাংলাদেশ সময় রাত আনুমানিক ৯.০০ ঘটিকায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।পরবর্তীতে ১৪ মে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ১৫ মে বুধবার তাঁর স্বপ্নের বে টেনারি,২১ হাজারী বাগে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিনই বাদ মাগরিব গুলশানস্থ আজাদ মসজিদ প্রাঙ্গনে বাদ মাগরিব দ্বিতীয় জানাযা
অনুষ্ঠিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ বাদ যোহর গোসাইরহাট উপজেলা সদরে অবস্থিত সরকারি শামসুর রহমান কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে তৃতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ বাদ আছর নালমুড়ি ইউনিয়নে অবস্থিত জিয়াউর রহমান আহাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চতুর্থ জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। একই সাথে গতকাল ১৫ মে রাত আনুমানিক ১১.৩০ টায় ইহকাল থেকে চাচার মত শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ কর চলে যাওয়া তাঁরই ভাতিজা অ্যাডভোকেট কাইয়ুম মিয়ার জানাযা হয়। এরপরে আলহাজ্ব শামসুর রহমান ও তাঁর ভাতিজা বে গ্রুপের এক সময়কার জেনারেল ম্যানেজার এ্যাডভোকেট কাইয়ুম মিয়াকে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। জানাযায় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর ২ আসনের এমপি সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর-৩ আসনের এমপি নাহিম রাজ্জাক, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ,পুলিশ সুপার মাহাবুব আলমসহ জেলার সর্বস্তরের হাজার হাজার জনতা।
আলহাজ্ব শামসুর রহমান ১৯৪১ সালে হাটুরিয়া মিয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এরপরে তিনি ১৯৭৩ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। চাকুরি চলাকালীন সময় থেকেই তিনি ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার প্রতি তার আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তিল তিল করে গড়ে তুলেন বে গ্রুপ। ব্যবসার পাশাপাশি এলাকার গরিব দুঃখী মানুষের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজে নিজেকে বিলিয়ে দেন।এমনকি এলাকার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদানের হাত বাড়িয়ে দেন। তার দীর্ঘ ৮৩ টি বছরে তিনি বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অনেক সাফল্য লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর ব্যবসায়ীক সাফল্য,সমাজকল্যাণ মূলক কাজ, দান-অনুদান ও শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রীয় পদক পেয়ে সিআইপি পদমর্যাদা লাভ করেন।শেষ জীবনে প্রায় ৫ বছর দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে অধিকাংশ সময় তিনি সিঙ্গাপুরে ছিলেন এবং সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি একজন ধার্মিক লোক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শুধু গোসাইরহাটবাসী নহে, গোটা শরীয়তপুরের লোক একজন অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে। জানাযায় অংশ নিতে আাসা সকলেই পরিবারের মৃত্যু বরণকারী দু'জনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত শেষে আল্লাহ্ যেন তাঁদেরকে জান্নাতবাসী করে এই দোয়া কামনা করেন।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা