September 20, 2024, 10:34 pm


বিশেষ প্রতিনিধি:

Published:
2024-06-23 14:42:40 BdST

বিআইডব্লিউটিএ টেন্ডার জালিয়াতিতে ধরা পড়ে অবশেষে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বদলী


  • ইজারা সিন্ডিকেট ঘাট টেন্ডার হওয়ার পর আদালতে  মামলা ঠুকে দেয়

  • উচ্ছেদ এর মালামাল ম্যাজিষ্ট্রেটের স্বাক্ষর জাল করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ

  • সিন্ডিকেটের সদস্যদের দাপটে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা থাকে তটস্থ

বিআইডব্লিউটিএ বন্দর ও পরিবহন বিভাগের এক কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে অবশেষে ঢাকার বাহিরে বদলীর আদেশ দেওয়া হয়েছে। চাকুরী পদ মর্যাদা নিম্নস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হলেও এদের দৌরাত্ব ও দুর্নীতি ছিলো অত্যন্ত প্রতাপের সাথে। অভিযোগ রয়েছে বন্দর ও পরিবহন শাখার উধ্বর্তন শাখার একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার আর্শিবাদে দীর্ঘদিন টেন্ডার জালিয়াতি সহ নানা ধরনের অপকর্ম করেও দুই কর্মচারী ছিলো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এরা হলো প্রধান কার্য্যালয়ের বন্দর ও পরিবহন বিভাগের সহকারী সমন্বয় কর্মকর্তা মো: নাজমুল হুদা ও নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মো: সাহিকুল ইসলাম। দীর্ঘদিন যাবৎ দাপটের সাথে টেন্ডার জালিয়াতি ও দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলে ও অবশেষে বিআইডব্লিটিএর চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ প্রশাসন এদের বদলীর আদেশ দেন। আগামী ১লা জুলাই হতে এ আদেশ কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। বদলীকৃত কর্মস্থল হলো মোহাম্মদ নাজমুল হুদাকে সুনামগঞ্জ নদী বন্দর ও পরিবহন বিভাগ এবং মো: সাহিকুল ইসলামকে কুড়িগ্রামের চিলমারী নদী বন্দর ও পরিবহন বিভাগ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে যে নাজমুল হুদার বিষয়ে অভিযোগ হলো উচ্ছেদ অভিযানের মালামাল দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যাজিষ্ট্রেটের স্বাক্ষর জাল করে বিক্রি করে দিয়েছিলো। ঐ সময় বন্দর ও পরিবহন শাখার প্রভাবশালী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়।
অপরদিকে সাহিকুল ইসলাম দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ ধরে বন্দর শাখায় কর্মরত সে বিভিন্ন ইজারার সাথে সম্পৃক্ত। তিনি কর্মচারী ছোট পদের হলেও ইজারা সিন্ডিকেটর অন্যতম সদস্য। তার সাথে রয়েছে সিবিত্র প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ। বন্দরের একজন সিবিত্র নেতার হস্তক্ষেপ ছাড়া কোন ক্রমেই ইজারা কার্যক্রম সম্পন্ন হয় না। একেকজন সিবিত্র নেতার রয়েছে কোটি কোটি টাকার অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ।

একেকটি ঘাট এক বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। যখনই একটি ঘাট ইজারা দেওয়া হয় ঠিক তখনই সিন্ডিকেট উক্ত ইজারাদারের সাথে আঁতাত করে উক্ত টেন্ডারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয়। এর ফলে সরকার বঞ্চিত হয় রাজস্ব থেকে আর লাভবান হয় উক্ত সিন্ডিকেটের সদস্যরা। অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ সমস্ত দুর্নীতি পরায়ন ব্যক্তিরা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বন্দরে ডিউটি করার সুবাদে এরা হাতিয়ে নিয়েছে বাড়ী,গাড়ী ব্যাংক, ব্যালেন্স ও হয়েছে অঢেল সম্পদের মালিক।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার বিভিন্ন ব্যক্তিদের অভিমত শুধু দু’জন নয় দীর্ঘদিন যাবৎ প্রধান কার্য্যালয়ে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মরত দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঢাকার বাইরে বদলী করে এদের কর্মকালীন সময়ের কার্যক্রম তদন্তের দাবী রাখে। শুধু বদলী নয় এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করার জন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবী উঠেছে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা