September 20, 2024, 2:33 pm


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2024-08-06 12:34:02 BdST

শাজাহান খান ও বাহাউদ্দিন নাছিমের বাড়িতে ভাঙচুর


মাদারীপুরে শাজাহান খান ও বাহাউদ্দিন নাছিমের বাসভবন ভাঙচুর ও তাদের মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

সোমবার বিকালে বিক্ষুব্ধ জনতা একযোগ শাহজাহান খানের ১০ তলা বাসভবন ভাঙচুর করে। বাসভবনের পাশে থাকা তার মালিকানাধীন সার্বিক ইন্টারন্যাশনাল হোটেল, সার্বিক ফুড ভিলেজ, শাজাহান খান সমর্থিত আওয়ামী লীগের কার্যালয় এবং সার্বিক গাড়ির কাউন্টারসহ কয়েকটি স্থাপনায় আগুন দেয় তারা।

শাজাহান খানের বাসভবনের ঠিক পাশেই মাদারীপুর সদর থানা অবস্থিত হলেও এ সময় কোনো পুলিশকে দেখা যায়নি ঘটনাস্থলে। এছাড়াও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিমের বাসভবন ও তার পারিবারিক মালিকানাধীন হোটেল ভাঙচুর করে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ জনতা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে হাতে লাঠিসোটা নিয়ে শাজাহান খানের ১০ তলা বাসভবন ভাঙচুর করছে।

এ সময় আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী মহিলা এবং পুরুষ একযোগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তার বাসভবনের সামনে। খুব অল্প দূরত্বে মাদারীপুর সদর থানা থাকলেও এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাউকেই দেখা যায়নি।

মাদারীপুর সরকারি কলেজে অবস্থান করা কয়েকজন সেনাবাহিনীর সদস্যকে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করতে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিতে দেখা গিয়েছে। এ সময় ভিডিও করতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হয়।

এ সময় জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফারজানা নাজনীনের বাসভবন ও কিশোর গ্যাং নেতা নোবেল বেপারীর মালিকানাধীন মোটরসাইকেল শোরুম ও বাড়ি পোড়ানো হয়।

এ সময় এক যুবলীগ নেত্রীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং পুরাতন কোর্ট মোড়ে নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরটিও ভাঙচুর আগুন ধরিয়ে দেয়। অনেক বিক্ষোভকারীকে সিলিং ফ্যান, কম্পিউটারসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতা ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন।

এই ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএইচএম সালাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা