September 20, 2024, 12:20 pm


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2024-08-08 00:13:14 BdST

গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না এস আলমের ব্যাংক


তারল্য সংকটের কারণে গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। চট্টগ্রামে এই সংকট তীব্র হয়ে ওঠায় বুধবার (৭ আগস্ট) লেনদেনের মাঝপথে ব্যাংকটির সব শাখার কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয়। টাকা না তুলেই ফেরত যান অনেক গ্রাহক। আবার অনেক গ্রাহক ব্যাংকে এসে দেখেন শাখা বন্ধ।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবশ্য চট্টগ্রামের শাখাগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পেছনে তারল্য সংকটের পাশাপাশি নিরাপত্তা ইস্যুকেও কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন। আগের দিন ঢাকা ও চট্টগ্রামে ব্যাংকটির বেশ কয়েকটি শাখায় হামলা হয়েছে।

তীব্র তারল্য সংকটের কারণে গ্রাহকদের টাকা দিতে না পারায় বুধবার বেলা দেড়টার দিকে চট্টগ্রামে ফার্স্ট ইসলামী সিকিউরিটি ব্যাংকের সব শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ব্যাংকটির আঞ্চলিক প্রধান কামাল উদ্দিন তারল্য সংকটের কথা স্বীকার করে বলেছেন, বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা আনা যাচ্ছে না।

বিতর্কিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মাসুদের (এস আলম) নিয়ন্ত্রণাধীন সব ব্যাংকেই দীর্ঘদিন ধরে তীব্র তারল্য সংকট চলছে। বেনামী বিভিন্ন ঋণের মাধ্যমে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল টাকা সরিয়ে নিয়েছে। আমানতের বিপরীতে যে অনুপাতে ঋণ দেওয়ার কথা, প্রতিটি ব্যাংক তারচেয়ে বেশি অনুপাতে ঋণ দিয়েছে। আবার বিতরণকৃত ঋণের বড় অংশই খেলাপী।

সাইফুল আলম মাসুদ বিভিন্ন কোম্পানির নামে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এসব পাচারের টাকায় তিনি সিঙ্গাপুরে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।

তারল্য সংকটের কারণে এস আলমের ব্যাংকগুলো অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুদার নতুন টাকা ছাপিয়ে এই ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিয়ে রক্ষা করেছেন। তাতে চক্রটি আরও বেশি লুটতরাজের সুযোগ পেয়েছে।

কিন্তু সোমবার প্রবল গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপর কর্তৃত্ব হারায় আওয়ামী লীগের সুবিধাভুগী সাইফুল আলম মাসুদ। তার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জনরোষের ভয়ে দু’দিন ধরে অফিসে আসছেন না।

এদিকে আজ বুধবার এস আলমের অন্যতম পরামর্শদাতা বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ফারাহ আবু নাসের বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ব্যাংক থেকে পালিয়ে যান।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের রোষের কারণে এস আলমের ব্যাংকগুলোকে আর অন্যায্য ভাবে তারল্য সুবিধা দিতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একারণেই আজ গ্রাহকদেরকে টাকা দিতে পারেনি ব্যাংকটি। আগামী দিনেও এমন অবস্থা হতে পারে বলে আশংকা করছেন অনেক গ্রাহক।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের জনসংযোগ প্রধান বসুনিয়া দাবি করেন, টাকার অভাবে তাদের কোনো শাখার কার্যক্রম আজ অবধি বন্ধ হয়নি।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা