September 20, 2024, 6:48 am


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2024-08-24 02:22:06 BdST

ত্রাণের পাহাড় নিয়ে যাচ্ছে আহমাদুল্লাহর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন


টানা ভারি বৃষ্টি ও বাঁধ খুলে দেওয়ায় ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। পানিতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। সেসব এলাকায় তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়।

বিপর্যস্ত এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে শায়খ আহমাদুল্লাহর আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন। ত্রাণের পাহাড় নিয়ে বন্যার্তদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন তারা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান জানিয়েছেন, এসব জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ। এখন পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের ত্রাণের পরিমাণ আরও ২০০ টন বাড়িয়েছে আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, চলছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কর্তৃক বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ প্রস্তুতির বিশাল কর্মযজ্ঞ। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০০ টন, যা এখন ৭০০ টনে পৌঁছাচ্ছে। প্রয়োজন সাপেক্ষে আরও বর্ধিত হবে ইনশাআল্লাহ।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রথম ধাপে আমরা ২০ হাজার পরিবারকে দিচ্ছি ২ কেজি খেজুর, ২ কেজি চিড়া, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি, বনরুটি, কেক, বোতলজাত পানি, মোমবাতি ও দিয়াশলাই। ইতোমধ্যে আমাদের পাঁচটি গাড়ি স্পটে পৌঁছে গেছে।

পোস্টে বলা হয়েছে, আদ-দীন হাসপাতলের পক্ষ থেকে ফাউন্ডেশনের ত্রাণ তহবিলে ১৬ হাজার বনরুটি দেওয়া হয়েছে। আকিজ বেকার্সের পক্ষ থেকে ৩৭৮০ পিস বনরুটি এবং ১ হাজার ৫০০ পিস পাউন্ড কেক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আকিজ বেভারেজের পক্ষ থেকে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ তহবিলে ৭ হাজার ২০০ বোতল পানি (২২৫০ এমএল), ৭ হাজার ২০০ প্যাকেট গুড়াদুধ (৫০ গ্রাম), ৫ হাজার ৫৬০ প্যাকেট মুড়ি (৫০০ গ্রাম) প্রদান করা হয়েছে। এগুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে ৪০ হাজার পরিবাররকে ১০ কেজি চাল, ২ লিটার তেল, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

এদিকে, শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, অভূতপূর্ব ঘটনাবহুল এক দিন পার হলো আজ। স্বেচ্ছাশ্রম দেয়ার জন্যও যে মানুষ এইভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারে, আমাদের ধারণার বাইরে ছিল।

তিনি লিখেন, আমাদের কর্মযজ্ঞে কায়িক শ্রম দিতে ছুটে এসেছিলেন হাজারো মানুষ। তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পা হারানো প্রতিবন্ধী, সনাতন ধর্মাবলম্বী, এমনকি শিশুরাও। আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো খাবারের প্যাকেজের কিছু অংশের কাজ আজ শেষ হয়েছে। এই কাজ শেষ হতে আরও দুদিন লাগবে। এছাড়া ৪০ হাজার পরিবারের জন্য ভারী খাবারের পরিকল্পনা থাকলেও সেটা বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার করা হয়েছে। ভারী খাবারের কিছু অংশের কাজও সম্পন্ন হয়েছে আজ।

আহমাদুল্লাহ জানান, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ৪ হাজার পরিবারের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা থাকলেও সেটাকে বাড়িয়ে ৫ হাজার করা হয়েছে। ঘর হারানো ৫ হাজার পরিবারকে টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা করা হবে ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই জাতীয় দুর্যোগ থেকে আত্মরক্ষার তাওফিক দিন।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা