September 20, 2024, 6:39 am


শাফিন আহমেদ

Published:
2024-08-30 12:33:02 BdST

আদাবর থানার কৃষকদলের কথিত সভাপতি মনোয়ারের অনেক ক্ষমতা!


নাম মনোয়ার হোসেন মোল্লা। উনি আদাবর থানা কৃষকদলের কথিত সভাপতি। উনার অনেক ক্ষমতা। ক্ষমতার পালাবদলে স্বাধীন বাংলাদেশে যখন বিএনপি নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে, গণমানুষের কাছে পৌছানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে তখন এই পাতি নেতা ওনার জাত চেনালেন। কৃষকদলকে করলেন প্রশ্নবিদ্ধ। এই ব্যক্তির বক্তব্য অনুযায়ী, সাংবাদিক মারলে ওনার ক্ষমতা বাড়বে। তাই মদ খেয়ে, মাতাল হয়ে সাংবাদিক নিপীড়নের মতো জঘন্য পথ বেছে নিয়েছেন। ক্ষমতায় মসনদে না বসতেই ওনার এই আচরণ সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকিস্বরুপ। অন্যদিকে বিএনপির মতো বৃহৎ দলে এই ধরণের নেতা থাকাটাও ভীষণ অমর্যাদাকর। মঙ্গলবার রাতে এই ব্যক্তি সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের গায়ে হাত তোলেন। একদিন পর নেশা কেটে যেতেই চাপে পড়ে তিনি তার ভোল পাল্টে ফেলেন। ক্ষমতা জানান দেয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সেই মনোয়ারই সাংবাদিকের পায়ে ধরেই মাফ চান।

সাংবাদিক হবার সুবাদে এই ধরণের পাতি নেতাদের রক্ত সম্পর্কে সাংবাদিকরা ওয়াকিবহাল। কতিপয় নেতাদের এই ধরণের আচরণের কারণে গোটা আওয়ামী লীগ আজ বিলুপ্তির পথে। ভবিষ্যতে নেতা নির্বাচনে বিএনপি ভুল না করে আরো সচেষ্ট হবে এই প্রত্যাশা সাংবাদিক মহলের। নইলে বিএনপিকে আওয়ামী লীগের মতো খেসারত গুনতে হবে। শুধু তাই নয়, মনোয়ারের মতো অনেক বিএনপি পন্থী নেতার পাখা গজিয়েছে। তাদেরকে এখনই সামলানোর সময়।

সন্ত্রাসী মনোয়ার সম্পর্কে খবর নিয়ে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মনোয়ার এলাকায় নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলেছে। রিকশাওয়ালা এবং ফুটপাত থেকে শুরু করে নিরীহ দোকানদারদের কাছ থেকে চাদা নেয়া শুরু করেছে। সে তার বাহিনী নিয়ে প্রতিরাতে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে নিরীহ মানুষদের মারধর করে। সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান মনোয়ার বাহিনীর মারধরের শিকার হোন।
সাংবাদিক নিপীড়নকারী মনোয়ারের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা