May 4, 2025, 11:30 am


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2025-05-04 06:42:42 BdST

নেপথ্যে খালেদা জিয়ার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনবায়রার মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পেছালো


জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসা বাংলাদেশের প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সবচেয়ে বড় জোগান আসে এই খাত থেকে। অথচ এই খাতের জনশক্তি রপ্তানির বিষয় অন্য দেশ প্রতিদিন সহজ করলেও বাংলাদেশের মন্ত্রণালয়, বিএমইটি ও দূতাবাস সেটা কঠিন করে ফেলেছে। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও দূতাবাসের আচরণ অনেকটা অপরাধী ও বিচারকের মতো। এখানে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর আত্মরক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই।

তাই জনশক্তি পাঠানোকে সহজ ও সাবলীল করার লক্ষ্যে সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজমুক্ত "মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার" সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সীর জন্য উম্মুক্তকরণ এবং সৌদি আরবের বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের দাবীতে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের পূর্বঘোষিত মানববন্দন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি স্থগিত করেছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) এর সদস্যবৃন্দ।

জনশক্তি রপ্তানি সেক্টরে বিভিন্ন অনিয়ম ও বৈষম্যমূলক নীতি, ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক বিভিন্ন নিয়ম-কানুন, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানি ও সৌদি আরবে একক ভিসায় সত্যায়নবিহীন ডিমান্ডের অনুকূলে বহির্গমন ছাড়পত্র বন্ধের প্রতিবাদে এবং কতিপয় ট্রাভেল এজেন্সি কর্তৃক টিকেট সিন্ডিকেট করে টিকেটের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই মানববন্দন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।

আগামীকাল সোমবার রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনের সড়কে মানববন্ধন ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি একদিন পিছিয়ে ৬ই মে মঙ্গলবার সকাল ১১:৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)।

উল্লেখ্য যে, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আগামীকাল ৫ই মে সোমবার দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।

তার সম্মানার্থে ও বায়রার সদস্যদের সম্মতিতে  আগামীকালের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি একদিন পিছিয়েছে বলে দ্যা ফিন্যান্স টুডে'কে নিশ্চিত করেছে বায়রার একাধিক সূত্র।

বিগত স্বৈরাচারী ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু ভুলনীতি ও কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী, লোভী, অপরাধী ও ষড়ষন্ত্রকারী ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টরটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।

সূত্র মতে, ২০১৭-১৮ ও ২০২২-২৪ সালে সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড মোহাম্মদ আমিন, রহুল আমিন স্বপন, মোহাম্মদ নুর আলী মিলে প্রথমে ১০টি পরে ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সি নিয়ে একটি সিন্ডিকেট প্রতিষ্ঠা করে। এই সিন্ডিকেট সদস্যদের বাহিরে অন্য কোনও রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়াতে কর্মী রপ্তানি করতে পারত না। দুই পিরিয়ডে সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড ও তাদের সদস্যরা এই সেক্টর থেকে অতিরিক্ত আদায় করেছে প্রায় ১১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। স্বৈরাচারী সরকার এদের কোনও বিচার করেনি, কারণ তাদের আশ্রয়ে, প্রশ্রয়ে ও প্রত্যক্ষ সমর্থনে সিন্ডিকেট হয়েছে।

কিন্তু দুঃখের বিষয়, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও তাদের কোনও বিচার করেনি। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড আমিন, স্বপনেরা পুনরায় মালয়েশিয়াতে সিন্ডিকেট করে অভিবাসী কর্মী রপ্তানি করার চেষ্টা করছে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.