September 20, 2024, 12:41 pm


Siyam Hoque

Published:
2020-03-15 17:10:18 BdST

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল, তদন্তে কমিটি


 কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের সমালোচনা করে সংবাদ প্রকাশের দশ মাস পর মাদক রাখার অভিযোগে স্থানীয় এক সাংবাদিককে গভীর রাতে তুলে নিয়ে জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা এ অভিযান পরিচালনা করেন। দন্ড পাওয়া আরিফুল ইসলাম রিগান অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি। শহরের একটি সরকারি পুকুর সংস্কারের পর জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন নিজের নামানুসারে ‘সুলতানা সরোবর’ নামকরণ করতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে বাংলা ট্রিবিউনে সংবাদ করেছিলেন আরিফুল ইসলাম। গত বছরের ১৯ মে ‘কাবিখা’র টাকায় পুকুর সংস্কার করে ডিসি’র নামে নামকরণ!’ শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশ হয় বাংলা ট্রিবিউনে। তবে শেষ পর্যন্ত সেই নামকরণ করা হয়নি।

আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার নিতু সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে আইনশৃংখলা বাহিনীর একটি দল তাদের বাড়ি গিয়ে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে। অনেকক্ষণ ধাক্কাধাক্কির পর তিনি দরজা খুলে দেন। তিনি বলেন, এরপর ১৪/১৫ জন লোক ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে মারধর ও টানা-হেঁচড়া করে। একই সময় কিছু লোক এঘর-ওঘর হাঁটাহাঁটি করেছে। পরে মারতে মারতে আরিফুলকে বের করে নিয়ে যায়।

ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা সাংবাদিকদের বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ, আনসার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানের সময় তার বাড়ি থেকে ৪৫০ এমএল দেশি মদ ও ১০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে আরিফুল ইসলাম রিগানকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে দোষ স্বীকার করায় তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জেলা শহরের চড়ুয়াপাড়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন আরিফুল।

তদন্তে কমিটি: মধ্যরাতে সাংবাদিককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদন্ড দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ) আ. গাফফার খান আজ শনিবার বলেন, ওটা আমরা (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ) রংপুর বিভাগীয় কমিশনারকে খোঁজ-খবর নিতে বলেছি। আশা করি কালকের (রোববার) মধ্যে ফিডব্যাক পাবো। তখন প্রয়োজন হলে অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার এম. তারিকুল ইসলাম বলেন, মেসেজ আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) চলে গেছেন। তিনি স্টেটমেন্ট নিয়েছেন। তিনি বলেন, এখানে টাস্কফোর্স অভিযান এবং মোবাইল কোর্ট ভিন্ন বিষয়। আমরা আশা করি নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।

জানতে চাইলে রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু তাহের মো. মাসুদ রানা বলেন, আমি কুড়িগ্রামে আছি। এখানে সবার স্টেটমেন্ট নিচ্ছি। দুই পক্ষ এবং অন্যান্যের স্টেটমেন্ট নিচ্ছি। যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্টটা সাবমিট করবো।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা