সামিউর রহমান লিপু
Published:2025-10-30 21:56:38 BdST
যোগ্য প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হলে পরাজয়ের শঙ্কাজামালপুর-৩ আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল তুঙ্গে
জামালপুর জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনেই একসময় বিএনপির শক্ত অবস্থান ছিলো। কিন্তু আওয়ামী লীগের শাসনামলে জেলার আসনগুলো দলটির একচেটিয়া দখলে চলে যায়। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এখন আওয়ামী লীগ আর মাঠে নেই। তাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সব কটি আসন পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি।
বিএনপির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নির্বাচনী মাঠে তৎপরতা চালাচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরাও। দলটির প্রার্থীদের নাম আরো আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া মাঠে সক্রিয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও। একটি আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রার্থী দিতে পারে।
এই আসনগুলোতে তৎপরতা চালাচ্ছে আরো কিছু রাজনৈতিক দল। সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে জামালপুরের রাজনৈতিক মাঠ বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে। এই পাচটি আসনের মধ্যে আজ জামালপুর-৩ আসনে নির্বাচনী তৎপরতার চিত্র তুলে ধরা হলো।
বিগত পরিসংখ্যান
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ,০১,৮২৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭২১ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ০৯৯ জন। এটি জামালপুর জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১৪০নং আসন।
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে গত ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আটবার, বিএনপি দুই বার, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ এক বার এবং জাতীয় পার্টি একবার জয়লাভ করে।
তবে, এবার নিজেদের হারানো আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপি। অপরদিকে, নতুন করে স্বপ্ন বুনছে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ, আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৩ এ বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন
> জাতীয় নির্বাহী কমিটির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সহ সম্পাদক এবং মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল
> জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল
> জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী
> মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু
> মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান সিদ্দিকী শুভ
> কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি গোলাম রব্বানী
> কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি দৌলতুজ্জামান আনছারী
> সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেনের ছেলে কর্ণেল রফিকুল হান্নান
> জেলা বিএনপির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন
> কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর
জনপ্রিয়তায় কে এগিয়ে
মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন মহলে কথা বলে জানা গেছে, ৯০য়ের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ১৯৮৯ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।পরে বাম রাজনীতি ছেড়ে ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বাবুল। বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেওয়াল ঘড়ি মার্কায় নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মির্জা আজমের কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করলেও ২০০১ সালের থেকে কম ভোট পেয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।
এই আসনটি নিয়ে এখন চলছে সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা। এখন পর্যন্ত আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। তিনি কারাবরন, শত নির্যাতন, অত্যাচার, ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে দুর্দিনে তৃণমূল বিএনপির পাশে ছিলেন।
মেলান্দহ-মাদারগঞ্জের ৩টি পৌরসভাসহ দুটি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে বিগত ১৭ বছর ধরে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল দুই বার ধানের শীষের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও তৃণমূল বিএনপির দুর্দিনে পাশে থাকায় তিনি তৃণমূল বিএনপি ও সাধারন ভোটারের কাছে জনপ্রিয় নেতা।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রাজপথে থেকে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে।
এদিকে, হঠাৎ করে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান সিদ্দিকী শুভ।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের ছবিলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন। এসময় এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রার্থীতা ঘোষণার সময় সিদ্দিকী শুভ বলেন, “দেশের মানুষ এখন তারুণ্যের হাতে দেশ পরিচালনা দেখতে চায়। আমি ছাত্ররাজনীতি থেকে বিএনপির রাজনীতি করছি। দীর্ঘদিন ধরেই জনসেবা করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগের আমলে মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছি, নানা হুমকি-ধামকিও পেয়েছি। আমার শতভাগ বিশ্বাস, তারেক রহমান আমাকে মনোনয়ন দেবেন। সাধারণ জনতাও তাই বলছে।
এসময় তিনি আরও বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি মুক্ত সমাজ গঠন, আধুনিক অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নই হবে তার মূল লক্ষ্য।
অভ্যন্তরীণ কোন্দল
আসন পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে নামার আগেই বিএনপিতে প্রকট আকার ধারন করেছে নেতৃবৃন্দের মাঝে কমিটি নিয়ে ক্ষোভ, বঞ্চনা, অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং দলে আওয়ামী লীগের কর্মীদের অনুপ্রবেশ নিয়ে অবিশ্বাস ও পারস্পরিক আস্থাহীনতা। এর সাথে যোগ হয়েছে ধর্মভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দলের উস্কানীমূলক অপতৎপরতা।
সূত্র মতে, ৫ আগষ্টের পর থেকেই ধর্মভিত্তিক এই রাজনৈতিক দলের ইন্ধনে একটি কুচক্রী মহল সুপরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কিছু নেতাকে একদিকে চাঁদাবাজি, দখলের উস্কানি দিচ্ছে অন্যদিকে পর্দার আড়ালে প্রতিপক্ষের কাছে তথ্য ফাঁস করে বিপদে ফেলছে। একইসাথে নেতাকর্মীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করছে।
বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা পার্টি হাইকমান্ডের কাছে বৃহত্তর স্বার্থে দ্রুততম সময়ে দলে ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়েছেন।
সরেজমিনে জামালপুর-৩ আসন ঘুরে 'দি ফিন্যান্স টুডে'র বিশেষ অনুসন্ধানী টীম বিএনপি ও এর অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপচারিতায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দীর্ঘ তালিকা এবং অনুসারীদের বাড়াবাড়ি নিয়ে স্পষ্ট বিরক্তি ও হতাশার চিত্র ফুটে উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের একাধিক নেতাকর্মী এই প্রতিবেদককে বলেন, হঠাৎ করে একেক এলাকার একেকজন নেতা নিজের সক্ষমতা ও যোগ্যতা বিবেচনা না করেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতার ঘোষণা দেয়ার ফলে আদতে বিএনপিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে যেয়ে মাঠ পর্যায়ে সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিরোধে জড়াচ্ছে, দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে, কর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং একটা সময়ে সংঘর্ষ-হানাহানিতে রক্তাক্ত হচ্ছে জামালপুর।
সম্প্রতি, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার মেলান্দহ উপজেলায় বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সাদিকুর রহমান সিদ্দিকী শুভ'র কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আটজন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মেলান্দহ উপজেলার জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ সড়কের চর পলিশা এলাকার তালতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
মনোনয়ন প্রত্যাশী শুভ এই প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "উপজেলার চর পলিশা এলাকায় চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি শুভ রহমানের বাড়িতে উঠান বৈঠক চলাকালে প্রথম দফা হামলা চালিয়ে আমাদের লোকজনকে অহেতুক গালিগালাজ করে। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে স্থানীয়রা পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে উঠান বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমরা বিশ্বরোডের তালতলা এলাকায় আসলে দ্বিতীয় দফায় আমার গাড়ির গতিরোধ করে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের আহত করেছে।"
তিনি আরও বলেন, "হামলাকারীদের মধ্যে উপজেলা বিএন’পির সভাপতি ও সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের সমর্থক রঞ্জু, ছাত্রদলের যুবরাজ, হাসান, হুমায়ুনকে চিনতে পেরেছি।
চরপলিশা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক যুবরাজ ও তার লোকজন। এসময় আহত হয় আটজন।
আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা মুমূর্ষু হওয়ায় তাদের জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি পাঁচজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল কবির এই প্রতিবেদককে বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনার কথা আমি শুনেছি। হামলার কারণ সম্পর্কে অদ্যাবধি কেউই বিস্তারিত কিছু বলেনি। লোক মারফত শুনেছি যে, শুভ সিদ্দিকীর গণসংযোগে আওয়ামী লীগের লোকজন থাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, শুভ সিদ্দিকী বংশানুক্রমে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তিনি তৎকালিন টঙ্গ আন্দোলন, কৃষক আন্দোলন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা মরহুম আবদুর রহমান সিদ্দিকীর নাতি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রার্থীরা ভোটারের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। যার যার মতো কাজ করে যাচ্ছেন। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই নেতাকর্মীরা নির্বাচনের মাঠে কাজ করবেন।’
জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, কেন্দ্র থেকেই নির্দেশ রয়েছে যে, দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডে অন্য দলের লোকদের যাতে আনা না হয়। আমরা দেখছি যে, গত ১৭ বছর যাদের দেখা যায়নি। তারা আজ এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী হচ্ছেন এবং প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে বিএনপির এসব কর্মসূচিতে যাতে অন্য দলের কাউকে যাতে আনা না হয়। সেই বিষয়ে প্রার্থীদের জানানো হয়েছে।
অপরদিকে, এই আসনে প্রচার চালাচ্ছেন জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত একক প্রার্থী জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাওলানা মো: মুজিবুর রহমান আজাদী। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব লুৎফর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী দলটির মাদারগঞ্জ উপজেলার যুগ্ম আহবায়ক রুবেল মিয়া, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহ সভাপতি আরিফুল ইসলাম তুহিন, আল আমিন ও জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি লিটন মিয়া মাঠে সরব রয়েছেন। জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মুফতি শামসুদ্দিন, মেলান্দহ উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সাবেক সভাপতি মাওলানা বোরহান উদ্দিন, মেলান্দহ খেলাফত মসলিসের সভাপতি মুফতি রফিকুল ইসলাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে আলোচনায় রয়েছেন।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.
