November 21, 2025, 6:12 pm


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2025-11-21 15:08:13 BdST

কুমিল্লা ইপিজেডে ভূমিকম্প আতঙ্কে অজ্ঞান ৮০ নারী শ্রমিক


ছুটির দিনের সকালে শক্ত ঝাঁকুনিতে কেঁপে উঠল ঘরবাড়ি, আতঙ্ক ছড়াল ঢাকাসহ সারা দেশে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সময় স্থায়ী হওয়া এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত শিশু সহ ৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।

কুমিল্লা ইপিজেডে ভূমিকম্পের আতঙ্কে অন্তত ৮০ নারী শ্রমিক অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। দৌড়ে বের হওয়ার সময় ৫ জন নারী শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৫০ জনকে বেপজা হাসপাতালে এবং ৩০ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর দু’টি কোম্পানির নারী শ্রমিকরা আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। এতে অনেকে ভয় পেয়ে প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হন ও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তবে কোনো গুরুতর আহত নেই, সকলেই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে গেছেন।

এদিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তানভীর আহমেদ জানান, সেখানে ৩০ জন নারী শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূকম্পন অনুভূত হয়। হঠাৎ ঝাঁকুনি অনুভূত হলে ইপিজেডের নারী শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দৌড়ে বের হতে গিয়ে অনেকে পড়ে গিয়ে আহত হন এবং অনেকেই অফিসের মেঝেতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: ৫.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপল ঢাকা, নিহত ৪

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিসেট্ম বলছে, সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৭। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।

এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিলো রাজধানী ঢাকার কাছাকাছি নরসিংদীর ঘোড়াশাল। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়।

আজকের এই ভূমিকম্পকে এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে উল্লেখ করেছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার। তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান সিসমোলোজিক্যাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬।

যে অঞ্চলে ভূমিকম্পটি হয়েছে, সেটি ইন্দো-বার্মা টেকনিক প্লেটের অংশভুক্ত বলে জানান অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার। তিনি বলেন, ভূমিকম্পটিতে যে তীব্র, যে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে, তা তাঁর অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.